Chingrighata Metro Complications

চিংড়িঘাটা মেট্রো নিয়ে বৈঠকের দিনক্ষণ বেঁধে দিল হাই কোর্ট, কেন্দ্র, রাজ্য-সহ সব পক্ষকে সদর্থক আলোচনার নির্দেশ

কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে চিংড়িঘাটা সংক্রান্ত মামলা চলছে। আদালত জানিয়েছিল, চিংড়িঘাটার মেট্রো নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:১৮
Share:

মেট্রো লাইনের সম্প্রসারণের জন্য চিংড়িঘাটায় যানজটের আশঙ্কা। —ফাইল চিত্র।

চিংড়িঘাটার মেট্রো সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে সদর্থক আলোচনার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ছাড়াও এই মামলায় যুক্ত সকল পক্ষকে বৈঠকে বসতে বলা হয়েছিল। এ বার তার দিনক্ষণও বেঁধে দেওয়া হল। শুক্রবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, আগামী বুধবার চিংড়িঘাটা নিয়ে বৈঠকে বসতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। ওই দিন বিকেল ৫টায় মেট্রো ভবনে বৈঠক হবে। বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তও।

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে চিংড়িঘাটা সংক্রান্ত মামলা চলছে। বৃহস্পতিবারই আদালত জানিয়েছিল, চিংড়িঘাটার মেট্রো নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না। দ্রুত বৈঠকে বসতে হবে এবং সদর্থক আলোচনা করতে হবে সকল পক্ষকে। তার পর শুক্রবার কেন্দ্র, রাজ্য এবং নির্মাণকারী সংস্থার তরফে প্রতিনিধিদের নাম আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিনিধিরাই বুধবারের বৈঠকে থাকবেন। আদালত জানিয়েছে, সদর্থক মনোভাব নিয়ে আলোচনা করতে হবে এবং জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর চিংড়িঘাটা নিয়ে বৈঠকের পর হাই কোর্টে এই মামলাটি আবার উঠবে আগামী শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর। ওই দিন বৈঠকের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে হাই কোর্ট। চিংড়িঘাটা মেট্রোর জট ছাড়াতে বুধবারই এক দফা আলোচনা হয়েছে কেন্দ্র, রাজ্য, নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল-সহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতিনিধিদের। আদালতের নির্দেশে ফের তাঁরা বৈঠকে বসবেন।

Advertisement

নিউ গড়িয়া থেকে মেট্রোয় চেপে এখন বেলেঘাটা পর্যন্ত যাওয়া যায়। কিন্তু বিমানবন্দর পর্যন্ত পরিষেবা নেই। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই প্রকল্পের কাজ চিংড়িঘাটায় আটকে রয়েছে। গোটা প্রকল্প শেষ হলেও মাত্র ৩৬৬ মিটার অংশে কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। ফলে মেট্রো লাইনের সম্প্রসারণও আটকে। জনগণের স্বার্থের কথা ভেবে তাই সব পক্ষকে আলোচনায় বসতে বলেছে আদালত। নভেম্বর মাস থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেট্রো কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পুলিশ ছাড়পত্র দেয়নি। ফের তা নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement