ফুটপাতে দলীয় কার্যালয় ভাঙতে নির্দেশ

বছর খানেক আগে তাঁদের বাড়ির সদর দরজা ঢেকে ফুটপাত দখল করে একটি রাজনৈতিক দল ও সেই দলের কাউন্সিলর একটি বড়সড় অস্থায়ী কার্যালয় গড়েছেন। এর জেরে বাড়ির একতলার একাধিক জানলা তাঁরা খুলতে পারছেন না।

Advertisement

শমীক ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৮ ০২:৩১
Share:

সেই দলীয় কার্যালয়। শুক্রবার, আহিরীটোলা স্ট্রিটে। ছবি: রণজিৎ নন্দী

ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক দলের অস্থায়ী কার্যালয় সরাতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার জোড়াবাগান থানার ওসি-কে নির্দেশ দেন, ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কার্যালয় সরানোর এই কাজে পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও সহযোগিতা করতে হবে। জোড়াবাগান থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

আইনজীবী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় জানান, মক্কেল সমরলাল দে, তাঁর শরিক শঙ্করলাল দে ও শঙ্করবাবুর ছেলে সৌম্য ৯০ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটের বাসিন্দা। অভিযোগ, বছর খানেক আগে তাঁদের বাড়ির সদর দরজা ঢেকে ফুটপাত দখল করে একটি রাজনৈতিক দল ও সেই দলের কাউন্সিলর একটি বড়সড় অস্থায়ী কার্যালয় গড়েছেন। এর জেরে বাড়ির একতলার একাধিক জানলা তাঁরা খুলতে পারছেন না। তাঁদের বাড়িতে আয়না তৈরির পারিবারিক ব্যবসা ছিল। তা-ও বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিনের ছাউনি ও প্লাস্টিকের দেওয়াল দেওয়া ওই কার্যালয়ের জন্য। কারণ, মালপত্র বার করতে বা ঢোকাতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা, আগুন লাগার মতো কোনও বড় বিপদ ঘটলে বাড়ি থেকে বেরোতেও পারবেন না সকলে।

আইনজীবী সব্যসাচীবাবু মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, পরিস্থিতি এমনই যে, বাড়ির বাসিন্দাদের গোপনীয়তা নষ্ট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, স্থানীয় বিধায়ক, পুরসভা-সহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় প্রতিকার চেয়ে তাঁরা চিঠি দিলেও কাজ হয়নি। এমনকি, পুর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে খবর পেয়ে রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকেরা আহিরীটোলার ওই বাড়িতে চ়ড়াও হয়ে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। গত ২১ মে জোড়াবাগান থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল। পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। এর পরেই গত জুলাই মাসে হাইকোর্টে মামলা করেন সমরলালবাবুরা।

Advertisement

শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি রবিউল ইসলাম আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করে জানান, ৯০ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটে একটি নির্মাণ আছে। কিন্তু পুলিশের সেটি ভাঙার আইনি ক্ষমতা নেই। তা আছে পুরসভার। তা শুনেই ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি চক্রবর্তী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন