কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির স্নাতকোত্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে পড়ানো স্নাতকোত্তরের মানে সামঞ্জস্য থাকছে কি না, তার মূল্যায়নে একটি পরিদর্শক কমিটি তৈরির কথা ভাবছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বেহালার পর্ণশ্রীতে একটি কলেজে স্নাতকোত্তর পাঠের নয়া ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুগত মারজিৎ। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে বলেছেন, ‘‘উপাচার্যকে আমিই এই প্রস্তাব দিই। স্নাতকোত্তর কলেজে পড়ানোর মান এতে ভাল হবে। উনি প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন।’’ সুগতবাবুর বক্তব্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সব কলেজে স্নাতকোত্তর পড়ানো হচ্ছে, সেখানকার পড়ুয়ারা পাশ করার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সার্টিফিকেট পান। তাই উপাচার্যের বক্তব্য, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্নাতকোত্তর পড়ানোর সঙ্গে অন্য কলেজগুলিতেও পড়ানো স্নাতকোত্তর মানের সামঞ্জস্য থাকছে কি না, তার উপরে নজরদারি থাকা দরকার।’’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজের সংখ্যা প্রায় দেড়শো। তার মধ্যে শতাধিক কলেজে স্নাতকোত্তর পড়ানোর অনুমতি মিলেছে। স্নাতকোত্তরে পঠন-পাঠনের পদ্ধতি, পাঠ্যক্রম তৈরি, পরীক্ষা পদ্ধতি, ইত্যাদি ক্ষেত্রেও কলেজগুলিকে স্বাধিকার দেওয়া হয়েছে। শুধু ভর্তির পদ্ধতি ও আসনসংখ্যা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে আছে।
ওই কমিটি গড়লে কলেজগুলির স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ হবে না? সুগতবাবুর যুক্তি, ‘‘কমিটি শুধু পরামর্শ দেবে। স্বাধিকার ভঙ্গ বা খর্ব হওয়ার প্রশ্নই উঠছে না।’’