মাথায় ভাঙা সেতু, নীচে চলছে গাড়ি

নির্মীয়মাণ উড়ালপুলটির ভবিষ্যৎ কী তা জানতে একাধিক বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নিয়োগ করে সরকার। সেই রিপোর্ট সরকারের কাছে না এলেও কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ ওই উড়ালপুলের নীচ দিয়ে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৮ ০২:৪৮
Share:

আরম্ভ: বিপদ মাথায় করেই চলছে গাড়ি, পোস্তায়। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

পোস্তায় ভেঙে পড়া বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও তার নীচের রাস্তা দিয়ে কার্যত পুরোদমে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দিয়ে দিল লালবাজার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগে পরীক্ষামূলক ভাবে অটো চলাচল শুরু হয়। পরে ওই ভাঙা অংশের নীচ দিয়ে ছোট গাড়ি চলার অনুমতি দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রয়োজনে ওই রাস্তা দিয়ে বাস এবং ছোট মালবাহী গাড়ি চলাচল করছে।

২০০৮ সালে পোস্তায় উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন বাম সরকার। পরের বছরই কাজ শুরু হয়। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু কাজ থেমে থাকেনি। ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ কাজ চলাকালীন বিবেকানন্দ উড়ালপুলের একটি অংশ গণেশ টকিজ মোড়ের কাছে ভেঙে পড়ে। ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৭ জনের। আহত হন অনেকে। এর পরে স্থানীয়দের দাবি মেনে উড়ালপুলের কাজ বন্ধ করে দেয় সরকার।

Advertisement

নির্মীয়মাণ উড়ালপুলটির ভবিষ্যৎ কী তা জানতে একাধিক বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নিয়োগ করে সরকার। সেই রিপোর্ট সরকারের কাছে না এলেও কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ ওই উড়ালপুলের নীচ দিয়ে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেয়। পুলিশ সূত্রের খবর, স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে আসা গাড়িকে কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট দিয়ে সোজা গণেশ টকিজ মোড় পেরিয়ে পাঠানো হচ্ছে বিবেকানন্দ রোড বা রবীন্দ্র সরণিতে। তবে উত্তর কলকাতার দিকে যাওয়া বিভিন্ন বেসরকারি বাসকে গণেশ টকিজ মোড়ের কাছে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তার আগেই যদুনাথ মল্লিক রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, বড়বাজার পোস্তা এলাকায় যানজট বেশি হয়। তাই নিষেধাজ্ঞা থাকলেও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ওই রাস্তা দিয়ে বাস চালানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, দুর্ঘটনাস্থলের কাছে উড়ালপুলের অসমাপ্ত অংশের নীচেই রয়েছে অটোস্ট্যান্ড। পুলিশের বাসকেও যেতে দেখা গেল ওই
রাস্তা ধরে। ঘটনার দু’বছর পরেও উড়ালপুল নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও পুলিশ গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় খুশি স্থানীয়েরা।

ট্র্যাফিক পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, ওই উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরে হাওড়া এবং স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে আসা উত্তর কলকাতামুখী সব গাড়িকে মহাত্মা গাঁধী রোড দিয়ে পাঠানো হত। এতে ওই রাস্তা-সহ চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের উপরে গাড়ির চাপ সব সময় বেশি থাকত। ফলে যানজটও বেড়ে গিয়েছিল। পুলিশের দাবি, সেই চাপ কমাতেই ওই রাস্তায় গাড়ি চালানো হচ্ছে। পুলিশের একাংশের মতে, ছোট গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে চললে তার কম্পনে উড়ালপুলের কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই, এটা জানার পরেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন