ফুলকপির দাম আকাশছোঁয়া।—ফাইল চিত্র।
পুজোর বাজারে মহার্ঘ এ বার ফুলকপি।
বেগুন, পটল, ভাল ঝিঙের মতো অন্য আনাজের দাম বেশ চড়া। তবে বহু পুজোর ভোগে অনেকেই ফুলকপি বা বাঁধাকপির তরকারি করেন। ছোট-ছোট দেশি বাঁধাকপি ৪০ টাকা কেজিতে মিললেও ফুলকপির দাম আকাশছোঁয়া। বুধবার, সপ্তমীর দিন ছোট ফুলকপি এক-একটি বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকায়। ভাগ্য ভাল থাকলে কেউ কেউ জোড়া ফুলকপি পেয়েছেন ৯০ টাকার মধ্যে।
আনাজ বিক্রেতাদের বক্তব্য, রাজ্যের বাইরে থেকে ফুলকপি আসছে না। ভরসা এখানকার ফুলকপিই। তার জোগান সামান্য, ফলে দামও চড়া। অনেকের দাবি, এতে চাষিরা কিছুটা পয়সার মুখ দেখছেন। পুজোর কথা ভেবে যাঁরা আগে থেকেই ফুলকপি চাষ করেছিলেন, তাঁদের লাভ হচ্ছে।
তবে ফুলকপির চেহারা দেখে কিন্তু অনেকেরই মন ভরছে না। ছোট-ছোট ফুল, রং খানিকটা হলদেটে। তার জন্য অবশ্য কৃষকেরা ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমকেই দায়ী করছেন। কিন্তু শীত আসার আগে বাজারে ফুলকপি দেখে অনেক গৃহস্থেরই স্বাদ বদলাতে মন চাইছে। ফলে পুজোর দোহাই দিয়ে দামি ফুলকপি কিনেই ফিরছেন তাঁরা। বিকোচ্ছে ছোট বাঁধাকপিও। দু’টি বাঁধাকপির ওজন হচ্ছে ৫০০-৬০০ গ্রাম। ৪০ টাকা কেজি ধরলে দাম পড়ছে ২০-২৫ টাকার মধ্যে।
সাদা পটল, লম্বা ঝিঙে, বেগুন, ডাঁটা, মুলোর দামও বেশ চড়া। পটল ৫০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, ভাল বেগুন ৫০-৬০ টাকা কেজি। মোটা ডাঁটার দাম ১২০-১৫০ টাকা কেজি। মুলো ৪০-৫০ টাকা কেজি। সব মিলিয়ে যাঁদের আনাজের বাজার করতে হচ্ছে, তাঁদের গচ্চা যাচ্ছে ভালই।
কলকাতার অনেক বাজারের বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, পুজোর ছুটিতে কোলে মার্কেটে আনাজের গাড়ি কম আসছে। ফলে খুচরো বাজারেও আনাজ আসছে কম। সব মিলিয়ে তা-ই দাম একটু চড়া।