Recruitment Scam

চাকরি বিক্রিতে দোষী এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিও, সওয়াল সিবিআইয়ের, মুখ খুললেন অভিযুক্ত কুন্তলও

ওএমআর শিটকাণ্ডে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দুই অংশীদার কৌশিক মাজি এবং পার্থ সেনের জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের দাবি, তারাও নিয়োগ দুর্নীতিতে সমান ভাবে জড়িত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৫০
Share:

— প্রতীকী ছবি।

স্কুলে নিয়োগের তদন্তে ওএমআর শিট গরমিলের অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিও যুক্ত। শুধু তাই নয়, অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দুই ধৃত কর্মী কৌশিক মাজি, পার্থ সেনও কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলদের মতোই দোষী। শুক্রবার আদালতে এই দাবিই করলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কৌশিক এবং পার্থের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থাকে। সিবিআইয়ের দাবি, সেই সংস্থা অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। ওই সংস্থার দুই কর্তা কৌশিক এবং পার্থকে আগে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার ছিল নিয়োগ মামলায় ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রিদের সঙ্গেই কৌশিক, পার্থকেও আদালতে তোলার দিন। আদালতে তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে থাকলেও এই সংস্থার মাধ্যমেই চাকরিতে কারচুপি করা হত। অযোগ্যদের নম্বর পাইয়ে দেওয়ার কাজ করতেন সংস্থার অন্যতম অংশীদার কৌশিক, পার্থেরা। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দুই কর্তা কৌশিক এবং পার্থ আদালতের কাছে জামিনের আবেদন জানান। পাল্টা, সিবিআইয়ের কৌঁসুলির দাবি, ৭০০ অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। যে তালিকা আদানপ্রদান হয় ওই সংস্থার সঙ্গে। ওই তালিকায় ৩০০ জনের বেশি অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী চাকরি পেয়েছিলেন। অর্থাৎ, এর মধ্যে দিয়ে তাঁরাও লাভবান হয়েছিলেন। ধৃতদের জামিনে আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবীর সওয়াল, এর দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না কৌশিক, পার্থ।

প্রসঙ্গত, এর আগে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে, একাধিক মেল আইডি ব্যবহার করে চাকরি বিক্রির অভিযোগ এনেছিল সিবিআই। এ দিন সিবিআইয়ের সওয়ালে উঠে এল, চাকরি বিক্রির ক্ষেত্রে কৌশিক, পার্থের সংস্থার ভূমিকার বিষয়টিও। যদিও তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন ধৃতদের আইনজীবী। কৌশিকের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের কাছে এ সম্পর্কে কোনও প্রমাণ থাকলে আদালতে দিক।’’ পার্থর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘পার্থ ওই সংস্থার একজন কর্মচারী মাত্র। তিনি সংস্থা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন না।’’ আদালত কৌশিক এবং পার্থকে আগামী পয়লা ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ২৩ নভেম্বর তাপস মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে।

Advertisement

এ দিনই আদালত থেকে বেরোনোর সময় আবার মুখ খুলেছেন কুন্তল। তাঁর দাবি, তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি সিবিআইকে নাম বলেছি। কিন্তু সিবিআই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। গোপাল দলপতিকে কেন গ্রেফতার করল না? উনি তো দিল্লিতে মুখ খুলছেন। যাঁরা টাকা তুলেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সিবিআইয়ের কোনও ক্ষমতা নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন