বক্সীকে জেরা করে ‘সন্তুষ্ট’ সিবিআই

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিক্রি সংক্রান্ত তদন্তে সোমবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঘণ্টা দেড়েকের জেরা-শেষে তদন্তের ব্যাপারে মুখ না খুললেও সিজিও কমপ্লেক্স-এ দাঁড়িয়েই বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থায় প্রতারিতদের টাকা ফেরতের দাবি তুলেছেন সুব্রতবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

সিবিআই দফতরে সুব্রত বক্সী। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিক্রি সংক্রান্ত তদন্তে সোমবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঘণ্টা দেড়েকের জেরা-শেষে তদন্তের ব্যাপারে মুখ না খুললেও সিজিও কমপ্লেক্স-এ দাঁড়িয়েই বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থায় প্রতারিতদের টাকা ফেরতের দাবি তুলেছেন সুব্রতবাবু।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিক্রি ও তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রের তহবিলের সম্পর্ক নিয়ে সুব্রতবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হয়। এ ব্যাপারে সুব্রতবাবু সিবিআই আধিকারিকদের কাছে তাঁর ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন। সিবিআইয়ের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা সেই বক্তব্যে সন্তুষ্ট বলে জানা গিয়েছে।

বছর আটেক আগে মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি প্রদর্শনী করে বিক্রি করা হয়েছিল। সেই ছবি বিক্রির টাকা শাসক তৃণমূলের মুখপত্রের তহবিলে জমা পড়েছিল। সেই ছবি বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বেশ কয়েকজন মালিকও কিনেছিলেন বলে সিবিআইয়ের দাবি। তৃণমূলের মুখপত্রের তহবিল পরীক্ষা করে সিবিআই দেখেছে, ছবি কিনতে অন্তত ৩০ লক্ষ টাকা সারদা-রোজভ্যালির মতো সংস্থা থেকে গিয়েছিল। সে সময় বিক্রি হওয়া ছবির অন্তত ১৫টি হাতে নিয়েছে সিবিআই।

Advertisement

আরও পড়ুন: মৃতদেহ নিয়ে একের পর এক সভা বিজেপির, মঙ্গলবার বন্‌ধের ডাক গোটা দুর্গাপুরে

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, তহবিলের স্বাক্ষরকারীরা হলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, মানিক মজুমদার এবং দলের রাজ্যসভার এক প্রাক্তন সাংসদ। এঁদের সঙ্গেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্য সভাপতি সুব্রতবাবুকেও নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে এ দিন বেরনোর সময় তিনি জেরার ব্যাপারে বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়। কিছু বলব না।’’

তবে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর বক্তব্য, ‘‘অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখেছিলেন যাঁরা, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া দরকার। তৃণমূলকে ডেকে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না। যত ভয় দেখাবে, তৃণমূল তত সঙ্ঘবদ্ধ হবে।’’ তার পরেই বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘আগামী লোকসভা ভোটে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিদায়ে তৃণমূল মুখ্য ভূমিকা নেবে।’’

আরও পড়ুন: খুন হওয়া কর্মীর দেহ ছাড়াতে আসানসোলে অবরোধ বিজেপির, উত্তপ্ত পশ্চিম বর্ধমান

রোজভ্যালির আন্দোলনরত আমানতকারী ও এজেন্টদের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে এদিনই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল ওঁদের ধরনা তুলে নিতে অনুরোধ করেছেন। এ ব্যাপারে সরকারকে তিনি চিঠি দেবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন