শহরকে নজরে রাখতে সিসিটিভি বসাতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু লালবাজারের একাংশই জানাচ্ছেন, খোদ পুলিশের ‘ঘর’ই এখনও পুরো নজরদারির আওতায় নেই! কলকাতার দুটি থানার অন্দরেই এখনও নেই সিসিটিভি।
পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে, থানার লক আপ, সেরেস্তা এবং থানার ঢোকা-বেরোনোর পথে সিসিটিভি থাকার কথা। কিন্তু নেতাজিনগর ও পঞ্চসায়র থানায় একটিও সিসিটিভি নেই। তিন বছর আগে থানা তৈরি হলেও সিসিটিভি কেন বসানো হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। লক আপে বন্দিমৃত্যু বা থানার ভিতরে নাগরিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে তার সত্যতা প্রমাণে সিসিটিভির ফুটেজ জরুরি। থানায় হাঙ্গামা হলে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতেও তা জরুরি। কিন্তু থানায় সিসিটিভি না থাকলে তা করা যায় না। লালবাজারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করতে হলে অন্য থানায় হাজির হতে হচ্ছে সিসিটিভিহীন থানার ওসিদের।
শহরের প্রায় ১৬০০টি জায়গায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। আরও হাজার খানেক জায়গায় বসানো হবে। সিসিটিভিতে নজরদারি চালানোর জন্য লালবাজারে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে। এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দায়িত্বে থাকছেন। এত কিছুর পরেও সব থানায় সিসিটিভি বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে না কেন?
এর সদুত্তর মেলেনি। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা শুধু বলেন, ‘‘নেতাজিনগর ও পঞ্চসায়র-সহ সিসিটিভিহীন থানাগুলিতে শীঘ্রই ক্যামেরা বসবে। কাজও শুরু হয়েছে।’’