Coronavirus

বন্দির করোনা, খাবার দেওয়ার বিধি বদল জেলে

সপ্তাহখানেক আগে বারুইপুরের ওই বিচারাধীন বন্দির করোনার উপসর্গ দেখা দেয়।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০১:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।

Advertisement

লৌহ কপাটের অন্দরও নিরাপদ নয়। ১৯ দিন আগে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের এক বন্দি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বার সেই তালিকায় নাম উঠল বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের এক বন্দির। তার পরেই বন্দিদের পরিজনদের তরফে খাবার দেওয়ার নিয়মে কিছু বদল করতে চলেছে কারা দফতর।

সপ্তাহখানেক আগে বারুইপুরের ওই বিচারাধীন বন্দির করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। মধ্যবয়সি ওই ব্যক্তিকে বারুইপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর নমুনা পরীক্ষার পরে জানা যায়, বিধাননগর পুর এলাকার ওই বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দিন কয়েক আগে ওই বন্দিকে শহরের এক কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে খবর। একটি খুনের মামলায় জেলে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। ওই সংশোধনাগারের আরও কয়েক জন বন্দির করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ বলে কারা দফতর সূত্রে দাবি।

Advertisement

বারুইপুরের ঘটনা সামনে আসতেই পরিজনদের কাছ থেকে বন্দিরা যে সব খাবার নেন, তার নিয়মে বদল করেছে কারা দফতর। প্যাকেটবন্দি খাবারে জোর দেওয়া হয়েছে। প্যাকেট বা মোড়ক ছাড়া কোনও খাবার দেওয়া যাবে না। কারা দফতরের মতে, প্যাকেট থাকলে জীবাণু নাশ করা সুবিধাজনক। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে।

করোনা পরিস্থিতিতে পরিজনদের সাক্ষাতে রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কারা দফতর। ওই সিদ্ধান্তের পরে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন বন্দিরা। তার বহিঃপ্রকাশে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। তার পরে ওই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। তাই ঝুঁকি থাকলেও সাক্ষাৎকারে এখনই রাশ টানতে চায় না কারা দফতর।

জলপাইগুড়ির ঘটনায় কারা দফতরের বক্তব্য ছিল, সংক্রমণ সম্ভবত হাসপাতাল থেকে হয়েছে। কারণ, ওই বন্দি আক্রান্ত হওয়ার অনেক আগে থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে বারুইপুরের আক্রান্ত বন্দি দীর্ঘদিন কারাগারেই রয়েছেন। ফলে তাঁর সংক্রমণের উৎস চিন্তা বাড়াচ্ছে কারা দফতরের। সেই কারণেই খাবার দেওয়ার নিয়মে বদল করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বারুইপুরে করোনা সংক্রমণ নিয়ে তথ্য গোপন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর। সংগঠনের নেতা রঞ্জিত শূরের বক্তব্য, ‘‘গোপন করলে বন্দি, জেলকর্মী কিংবা পরিজনেরা সতর্ক হবেন না। তাই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ছিল।’’ সব অভিযোগ উড়িয়ে কারা দফতরের দাবি, করোনা মোকাবিলার সমস্ত পদক্ষেপই প্রয়োজন অনুযায়ী করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন