TV Serial

সিরিয়ালে কাজ দেওয়ার নামে ফের প্রতারণা, ধৃত এক

সম্প্রতি এ ভাবেই পরিচালক অনীক দত্ত এবং সুজিত সরকারের নাম ভাঁড়িয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা-চক্র সক্রিয় হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

অডিশনের জন্য ছ’শো টাকা জমা দিতে হবে। প্রাথমিক পর্বে নাম উঠলে অভিনয়ের প্রশিক্ষণের জন্য দিতে হবে ছ’হাজার টাকা! এর পরবর্তী খরচ জানানো হবে ধীরে ধীরে!তাঁর লেখা চিত্রনাট্যের উপরে তৈরি টিভি সিরিয়ালে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এ ভাবেই প্রতারণা-চক্র চলছে বলে সোমবার রাতে রিজেন্ট পার্ক থানায় অভিযোগ করেছিলেন চিত্রনাট্যকার তথা রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার যোধপুর পার্কের একটি ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় শশীকান্ত ভৌমিক নামে এক ব্যক্তিকে। আরও কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।

Advertisement

লীনাদেবী জানান, সোমবার রাতে ফোনে এক তরুণী বলেন, “আপনার সিরিয়ালে অডিশন দিয়েছি। প্রাথমিক পর্বে মনোনীত হলেও কবে কাজ শুরু হবে বুঝতে পারছি না।’’ অবাক লীনাদেবী তরুণীর থেকেই টাকা দেওয়ার কথা জানতে পারেন। লীনাদেবীর কথায়, “যে সিরিয়ালে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল, তার জন্য এই মুহূর্তে অডিশন হচ্ছে না। গোটাটাই যে ভুয়ো, বুঝতে অসুবিধা হয়নি। প্রতারিত হয়েছেন বুঝে ওই তরুণী রাজ্য মহিলা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। সেখান থেকেই জানানো হয় পুলিশে। তরুণীই জানান, মঙ্গলবার যোধপুর পার্কের একটি ফ্ল্যাটে অডিশন হবে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ যোধপুর পার্কের ওই ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ। একটি ঘরে অভিনয় প্রশিক্ষণের ক্লাস চলছিল। আরও জনা পনেরো তরুণ-তরুণী অডিশন দিতে হাজির হয়েছিলেন। পুরোটাই হচ্ছিল শশীকান্তের নেতৃত্বে। তবে কোনও বৈধ কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেই ফের সক্রিয় হয়েছিল এই চক্রটি। লোকনাথ গ্রুপ নামে ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে স্থানীয় কেব্ল চ্যানেলগুলিতে সিরিয়ালে কাজ দেওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করেন শশীকান্ত। যাঁরা অডিশন দিতে আসতেন তাঁদের থেকে হাতানো হত টাকা। ঘন ঘন অডিশন কেন্দ্রের ঠিকানা বদলে ফেলা হত।

Advertisement

সম্প্রতি এ ভাবেই পরিচালক অনীক দত্ত এবং সুজিত সরকারের নাম ভাঁড়িয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা-চক্র সক্রিয় হয়েছিল। অনীকবাবু নিজে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ দেখেছে, মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচালকদের নামে ভুয়ো ফ্যান পেজ খোলা হয়। সেখান থেকেই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়। কাজ দেওয়ার নাম করে মোবাইল পেমেন্ট পদ্ধতিতে টাকা হাতানো হয়। লালবাজারের সাইবার শাখার এক কর্তা বললেন, “প্রতারকেরা বেশির ভাগই প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে বলে সহজে তাদের অবস্থান জানা যায় না। এ দিন গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় কি না, দেখা হচ্ছে।” তবে তাঁর পরামর্শ, অনলাইনে তো বটেই, এই মুহূর্তে যে কোনও ধরনের কাজের প্রস্তাবের ক্ষেত্রেই ভাল ভাবে নিশ্চিত হয়ে তবেই এগোনো উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন