জওয়ানদের থাকার জায়গা নিয়ে টানাপড়েন চলছিল। তা মিটতেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ও ভারতীয় জাদুঘরের নিরাপত্তার ভার দেওয়া হচ্ছে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিওরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)-এর হাতে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই তারা এই দুই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেবে বলে সূত্রের খবর।
ভিক্টোরিয়া ও জাদুঘরের প্রশাসনিক দফতর সূত্রে খবর, বছরখানেক আগেই এই দুই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা ও কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তুলে সিআইএসএফ-কে দিতে বলা হয়। ২০০৪-এ জাদুঘর থেকে বুদ্ধমূর্তি চুরি ও ২০১৪-এ আধিকারিক সুনীল উপাধ্যায় নিখোঁজ হওয়ার পরে ও আগে বিভিন্ন সময়ে সুনীলবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক বার জাদুঘরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ)। পরে সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘরের সঙ্গে ভিক্টোরিয়ার সুরক্ষা-ভারও সিআইএসএফ-কে দিতে বলে। কিন্তু জওয়ানদের ব্যারাক তৈরির জায়গা মিলছিল না ভিক্টোরিয়া চত্বরে।
সিআইএসএফ কর্তারা বাসস্থান ও কর্মস্থল একই জায়গায় চাইছিলেন। স্থানাভাবে বিষয়টি অমীমাংসিত ছিল। সম্প্রতি সিআইএসএফ-এর সঙ্গে আলোচনায় বসেন দুই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। ভিক্টোরিয়ার এক কর্তার কথায়, ‘‘সাধারণত হেরিটেজ প্রতিষ্ঠানে ব্যারাক করা যায় না। সিআইএসএফ-এর যুক্তি ছিল, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই ভিক্টোরিয়ার ভিতরে থাকতে দিতে হবে।’’
ওই কর্তা জানান, দুই প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭০ জন জওয়ানকে নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে ৯২ জনকে হেরিটেজের ক্ষতি না করে ভিক্টোরিয়া চত্বরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। আর তাঁদের পরিবার-সহ বাকি জওয়ানদের সাঁতরাগাছিতে সিপিডব্লিউডি-র ফাঁকা জায়গা বা বৈষ্ণবঘাটায় বিএসএনএল-এর ফাঁকা জমিতে ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হয়েছে। জায়গা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্তই বাকি। সিআইএসএফ-এর এক কর্তা বলেন, ‘‘দুই প্রতিষ্ঠান জায়গা ঠিক করে দিলেই নিরাপত্তার ভার নিতে অসুবিধা নেই।’’