বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ পরিচালনার ‘রাশ’ কাদের হাতে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই ছাত্রগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়ই চলছে অশান্তি। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই গোষ্ঠীর মারপিট কলেজ ছাড়িয়ে নেমে পড়ল রাস্তায়। কলেজে রাখা গাছের টব ছোড়াছুড়িও চলে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে আহত হন পাঁচ জন ছাত্র। ভাঙচুর হয় মোটরবাইক। পরে বারাসত থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চলতি মরসুমে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ওই কলেজে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু ছাত্র সংসদে কারা ক্ষমতায় থাকবে সেই প্যানেল নিয়ে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার সভাপতি পারমিতা সেন এবং বারাসতের তৃণমূল সভাপতি চয়ন দাসের মধ্যে বিবাদের শুরু। চয়ন-শিবিরের ছাত্রছাত্রীরাই ছাত্র সংসদের ক্ষমতা ধরে রাখলেও তাঁকে সম্প্রতি সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ দিন পারমিতার শিবিরের পড়ুয়ারা কলেজ ইউনিটেরর একটি প্যানেল জমা দিতে গেলে তা নিয়ে ফের বিবাদ শুরু হয়।
পারমিতা-শিবিরের অভিযোগ, দলের সিদ্ধান্ত মতোই ছাত্র ইউনিট তৈরি হয়েছে। অধ্যক্ষ তা গ্রহণও করেছেন। সেই তালিকা নিয়ে এ দিন ওই শিবিরের ছাত্রছাত্রীরা সংসদে গেলে বিরোধী পক্ষের ছেলেরা তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদের প্রতিনিধিদের পাল্টা দাবি, তঁদের উপরেই চড়াও হয় ওই ছাত্রেরা। এ দিন মারপিট করতে করতে দু’পক্ষই কলেজের বাইরে রাস্তায় নেমে আসে। জখম হন দু’পক্ষের পাঁচ জন ছাত্র। পুলিশ জানায়, আহতদের মধ্যে কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক প্রীতম চক্রবর্তী ও ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শমীক ভট্টাচার্য বারাসত হাসপাতালে ভর্তি। তবে এ দিন বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কলেজ অধ্যক্ষ।