ভরসন্ধ্যায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ, প্রশ্নে সুরক্ষা

পুলিশ সূত্রের খবর, মেঘালয়ের বাসিন্দা ওই তরুণী পার্ক স্ট্রিটের একটি নামী কলেজে বায়োটেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকেন আজাদগড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভিন্‌ রাজ্য থেকে কলকাতায় পড়তে এসেছেন তিনি। কিন্তু সেই শহরেই ভরসন্ধ্যায় তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। যা ফের প্রশ্ন তুলল মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ওই পড়ুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। যেখানে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ, দেখা হচ্ছে সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মেঘালয়ের বাসিন্দা ওই তরুণী পার্ক স্ট্রিটের একটি নামী কলেজে বায়োটেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকেন আজাদগড়ে। ছাত্রীটির অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় তিনি যখন টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে আজাদগড়ের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন, সে সময়ে মোটরবাইকে এসে এক যুবক তাঁর গায়ে হাত দিয়ে পালায়। আতঙ্কিত ওই পড়ুয়া বাড়ি ফিরে ফেসবুক ঘেঁটে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুরো ঘটনা জানান।

ফেসবুকের মাধ্যমেই কলকাতা পুলিশের তরফে তরুণীর সঙ্গে যাদবপুর থানায় যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তিনি যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তরুণী জানিয়েছেন, তিনি দৌড়ে বাইকটি ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু চালক দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যান। ফলে তিনি বাইকের নম্বরও নিতে পারেননি।

Advertisement

এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, টালিগঞ্জ বা আজাদগড়ের মতো জায়গায় যেখানে অনেক রাত পর্যন্ত লোকজন থাকে, সেখানে ভরসন্ধ্যায় এক তরুণীর শ্লীলতাহানি করে বাইকচালক কী ভাবে পালিয়ে যেতে পারলেন? তা হলে পুলিশি নজরদারি কোথায়? যদিও পুলিশ দাবি করেছে, ওই রাস্তায় সব সময়ে টহলদারি থাকে। তার পরেও কী ভাবে এমন ঘটল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তরুণীর থেকে বাইকচালকের বর্ণনাও নেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement