ত্রয়ী: ‘পন্ডস পুজোর নন্দিনী ২০১৮’-র বিজয়ীরা। রবিবার, শহরের এক হোটেলে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
নারীর সৌন্দর্যকে কুর্নিশ জানাতে বারো বছর আগে প্রথম শুরু হয়েছিল পুজোর নন্দিনী। ধীরে ধীরে দুর্গাপুজোর উৎসবের অঙ্গ হয়ে উঠেছে ‘পন্ডস পুজোর নন্দিনী’। প্রতিদিন ঘরে-বাইরে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হন মহিলারা। সে সবের মোকাবিলা করে এগিয়ে চলা প্রত্যেক নারীর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছেন নন্দিনী— এমনটাই প্রতিযোগিতার মূল কথা।
দুর্গাপুজোর পাঁচ দিন মণ্ডপ এবং কলেজ থেকে এ বছর ১১,০০০ প্রতিযোগীর নাম নথিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া হোয়্যাটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও জি-মেলের মাধ্যমে আরও ৬,৫০০ প্রতিযোগীর নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। এ বছর মোট অংশগ্রহণকারী ১৭,৫০০ জন। তাঁদের মধ্যে থেকে দশ জন প্রতিযোগীকে বেছে নেন আলোকচিত্রী সনৎ ঘোষ এবং মেক-আপ শিল্পী অনিরুদ্ধ চাকলাদার।
কলেজগুলিতে নাম নথিভুক্তকরণের মাধ্যমে এ বছর নন্দিনী নির্বাচন পর্বের সূচনা হয়েছিল ১৯ সেপ্টেম্বর। নাম নথিভুক্তকরণের কাজ শেষ হয়েছিল ২১ অক্টোবর।
রবিবার শহরের এক হোটেলে হাজার আলোর ঝলকানিতে হয়ে গেল তারই চূড়ান্ত বাছাই পর্বের অনুষ্ঠান। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী, মীর আফসার আলি, সনৎ ঘোষ এবং অনিরুদ্ধ চাকলাদার। ‘পন্ডস পুজোর নন্দিনী ২০১৮’ বিজয়িনী বেলঘরিয়ার বাসিন্দা রিয়া ঘোষের নাম ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন বিএসসি প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী। গলায় তখন রিয়ার আত্মবিশ্বাসের সুর, ‘‘এই জয়কে সঙ্গী করেই আরও অনেক পথ এগিয়ে যেতে চাই।’’ এ দিনের প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হলেন বিনতা চক্রবর্তী এবং দ্বিতীয় রানার আপ প্রণমী আইচ।
হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডের পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার অম্লান মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নারীর অভ্যন্তরীণ শক্তিকে সম্মান জানাতে শুরু থেকেই এই উদ্যোগ। পাশের বাড়ির মেয়ের মিষ্টত্ব নির্বাচন করাই পন্ডস পুজোর নন্দিনীর মূল লক্ষ্য।’’