Money embezzlement

Pathashree Project: পথ এখনও অগম্য, সারানোর নামে খসে গেল ৩০ লক্ষ টাকা

২০২০ সালের অক্টোবর মাসেসোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের তৎকালীন বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায় সেই রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের শিলান্যাস করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২২ ০৬:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

বরাদ্দ হয়েছে অর্থ। কিন্তু সংস্কারের কাজ হয়নি। তার বদলে কয়েক লরি ইট-পাথর ছড়িয়ে দিয়ে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের ৩০ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক। অভিযোগ, খাতায়কলমে ‘কাজ দেখিয়ে’ এ ভাবেই প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। টাকা খরচ হওয়া সত্ত্বেও বাস্তবে রাস্তার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, তা চলাচলের অযোগ্য। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর ব্লকের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

Advertisement

কয়েক বছর আগে সোনারপুর ব্লকের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শিশুমঙ্গল পিএফ স্কুলথেকে প্রসাদপুর মেন রোড পর্যন্ত অংশে ২৪৩০ বর্গমিটার রাস্তা সংস্কারের বরাত দেওয়া হয়। যার জন্য বরাদ্দ করা হয় ৩০ লক্ষ টাকা। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসেসোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের তৎকালীন বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায় সেই রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। কিন্তু শিলান্যাসই সার। বাস্তবে কিছুই কাজ হয়নি বলেঅভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি এ বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

জানা গিয়েছে, ওই রাস্তাটি ঝামা ইট দিয়ে তৈরি করা হবে বলে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তুস্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার পাশে কিছু ইট ফেলা ছাড়া সংস্কারের কোনও কাজই করা হয়নি। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, কাজটি হওয়ার কথা ছিল প্রতাপনগরপঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে। হল না কেন? পঞ্চায়েত-প্রধান তাপসী মণ্ডল বলেন, ‘‘আমি লেখাপড়া বেশি জানি না। আমাকে নির্মাণ সহায়ক যে কাগজ দিয়েছিলেন, তাতেই সইকরে দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’’

Advertisement

এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে অঞ্চল সভাপতি ও ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ ঢালির। তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের সরকারি কাজে আমি নাক গলাই না। আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জড়ানো হচ্ছে।’’ রাস্তাসংস্কারের এই ঘটনায় বিষয়ে সিপিএম নেতা ও সোনারপুরের বাসিন্দা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কাগজেকলমে যা আছে, বাস্তবে তা নেই। রাজ্য জুড়ে এ ভাবেই লোপাটের রাজনীতি চলছে।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যেএকাধিক রাস্তা ও পুকুরের সংস্কারের ক্ষেত্রে আর্থিক তছরুপের এমন ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। দুর্নীতির চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আমরা গোটা রাজ্যের এমন আর্থিক দুর্নীতির সমস্ত তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’’দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তরিপোর্ট হাতে আসার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন