—ফাইল চিত্র।
স্বচ্ছতা আনতে মেধার ভিত্তিতে অনলাইনে ভর্তির কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অথচ তিনি যে কলেজের প্রাক্তনী, সেই আশুতোষ কলেজেই প্রথম বর্ষে টাকার বিনিময়ে ছাত্র ভর্তি হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ ঘোষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
অভিযোগ পত্রে আশুতোষ কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন, সেখানে ভর্তির জন্য দালাল চক্র সক্রিয়। এবং এই কাজে মদত দিচ্ছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তিন নেতা। কী ভাবে ভর্তিতে স্বচ্ছতা আনা যায়, সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন অভিযোগকারীরা।
তাঁদের বক্তব্য, এক বিষয় নিয়ে ভর্তি হয়ে পরে কোনও পড়ুয়া অন্য বিষয়ে পড়তে চাইলে তা অনলাইনের মাধ্যমে করা হোক। এ ছাড়া, নিজের খরচে যে কোর্সগুলি পড়তে হয় তার বিস্তারিত তথ্য অনলাইনে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হোক। তাঁদের মতে, নিয়ম হোক ভর্তির সময়ে একমাত্র কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাই নির্দিষ্ট অফিসে যেতে পারবেন এবং অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। ভর্তির সময়ে বহিরাগত ও প্রাক্তনরা কলেজ ক্যাম্পাসে আসবেন না এবং ইউনিয়ন রুমে ‘শিবির’ করে বসে থাকবেন না।
অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, টাকার বিনিময়ে ভর্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। যে সব কলেজে এমন অভিযোগ উঠছে, সেখানকার কর্তৃপক্ষ যেন প্রশাসনের সাহায্য নেন। তিনি জানান, অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করা হলে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
যে তিন টিএমসিপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ কলকাতা জেলার কার্যকরী সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘কারা এই অভিযোগ করছে জানি না। এর কোনও ভিত্তি নেই।’’ উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘এখনও আমার কাছে অভিযোগ এসে পৌঁছায়নি।’’