দোকান ভাঙচুরে তোলাবাজির অভিযোগ

দক্ষিণ দমদমে একটি মার্বেলের দোকানে ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ফের তোলাবাজির ঘটনায় নাম জড়াল শাসক দলের। অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী— দু’পক্ষই নিজেদের শাসক দলের কর্মী বলে দাবি করেছেন। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫১
Share:

দক্ষিণ দমদমে একটি মার্বেলের দোকানে ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ফের তোলাবাজির ঘটনায় নাম জড়াল শাসক দলের। অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী— দু’পক্ষই নিজেদের শাসক দলের কর্মী বলে দাবি করেছেন। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।

Advertisement

শুক্রবার রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে প্রমোদনগরের ঝিলপাড় এলাকায় সুমন দাস নামে এক যুবকের দোকানে ভাঙচুর হয়। অভিযোগ, ঘটনার পিছনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই তৃণমূল কর্মী ভোম্বল ও কালুর সক্রিয় যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর দোকানটি ওই ওয়ার্ডেই। তিনি দমদম থানায় ভোম্বল ও কালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সুমনের কথায়, ‘‘আমি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলকর্মী। কালু ও ভোম্বল ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী। দোকান করতে ওদের সাহায্য চেয়েছিলাম। ওরা সাহায্য তো করেইনি। উল্টে দুর্গাপুজোর সময় থেকে তোলা চাইছিল। না দিতে পারায় ওরা দোকান ভাঙচুর করে।’’

সুমনের অভিযোগ, প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিল কালু ও ভোম্বল। শেষে ৫০ হাজার টাকায় দর নামে। তিনি ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে পেরেছিলেন বলে দাবি সুমনের। ভোম্বলের পাল্টা দাবি, ‘‘সুমন মিথ্যে বলছে। শনিবারও ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এটা আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা। আমরাও তৃণমূলকর্মী। আমাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করে সুমন দলের সুনাম নষ্ট করছে।’’

Advertisement

কিন্তু কী নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সমস্যা তা পরিষ্কার করেননি ভোম্বল। দু’পক্ষই যে তৃণমূলের কর্মী তা স্বীকার করেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদীপ মজুমদার। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘সকলকেই চিনি। ব্যক্তিগত গোলমালের সমাধানে পুলিশে অভিযোগ না করে দলের নাম জড়িয়ে ফেলেছেন অনেকেই। উচ্চতর নেতৃত্বকে জানাব।’’ স্থানীয় দমদম বিধানসভার কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায়, ‘‘দল কোনও ভাবেই বেআইনি কাজে সায় দেবে না। দলকে সামনে রেখে কেউ ব্যক্তিগত বিবাদে জড়ালে তাতেও দলের সায় নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন