চলছে কাজ। সোমবার। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
মিলেনিয়াম পার্ক, গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়ন মনোরম হলেও ‘কাঁটা’ ছিল চক্ররেলের লাইন। যা পার হয়ে ঢুকতে হতো পার্কে। গঙ্গার পাড়েও। এ বার রেললাইন এড়িয়ে যাতায়াতের জন্য সিডনির হারবার ব্রিজের আদলে তৈরি হচ্ছে সেতু। চাঁদপাল ঘাট থেকে শুরু হয়ে ওই সেতু ঢুকে যাবে মিলেনিয়াম পার্কে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই সেতু গ়ড়তে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা। আগামী মার্চেই সেই কাজ শেষ করা যাবে বলে পুরকর্তাদের দাবি।
মিলেনিয়াম পার্ক-সহ গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়ন দেখতে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ যান ওই চত্বরে। জলপথে বা সড়কপথে, যে কোনও ভাবে পার্কে ঢুকতে হলেই মাঝখান দিয়ে যাওয়া চক্ররেলের লাইন পেরোতে হয় সকলকে। যখন-তখন ট্রেন এসে পড়ার ঝুঁকি নিয়েই রোজ ওই লাইন পেরোন অসংখ্য মানুষ। পুরসভার এক কর্তা জানান, সৌন্দযার্য়নের কাজ চলাকালীনই এই সমস্যার বিষয়টি নজরে আসে। সুসজ্জিত গঙ্গাপাড় উদ্বোধনের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এর স্থায়ী সমাধানে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। মূলত তার পরেই পুরসভায় এ নিয়ে তৎপরতা বাড়ে। পুরসভার এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার জানান, অস্ট্রেলিয়ার সিডনির হারবার ব্রিজের আদলে তুলনায় ছোট এই ইস্পাতের সেতুটি করছে পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর।
দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, ১০০ মিটার লম্বা, ৫ মিটার চওড়া ওই সেতু চাঁদপাল ঘাটের জেটি থেকে শুরু হয়ে মিলেনিয়াম পার্কে শেষ হবে। ইস্পাতের সেতু শক্ত করে ধরে রাখবে কংক্রিটের কাঠামো। সেতু তৈরিতে প্রায় ৫ কোটি
টাকা খরচ হচ্ছে। যা যৌথ ভাবে বহন করবে রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, শুধু মিলেনিয়াম পার্ক বা গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়ন দেখা নয়, প্রতিদিন চক্ররেলে চেপে শহরতলিতে যাতায়াতও করেন অসংখ্য মানুষ। হাওড়ার দিক থেকে আসা অনেককেই অফিস, কোর্ট কাছারি থেকে ফিরে চক্ররেল ধরতে ওই লাইন পেরোতে হয়। এ বার তাঁরা জলপথে চাঁদপাল ঘাটে এসে সেখান থেকে এই নতুন সেতু ধরে মিলেনিয়াম পার্কে চলে যেতে পারবেন। মিলেনিয়াম পার্কের গায়েই চক্ররেলের ইডেন গার্ডেন স্টেশন প্ল্যাটফর্ম। ফলে লাইন পারাপারের ঝুঁকিও থাকবে না। নতুন সেতুর খবরে তাই খুশি চক্ররেলের যাত্রীরাও।
সোমবার ওই চত্বরে গিয়ে দেখা যায় সেতু তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। পুরসভার এক পদস্থ অফিসার জানান, আগামী মার্চেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তাঁরা।