দুর্গাপুজোর আগেই পথ আটকে কালীর মণ্ডপ

সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি রোডে ক্যালকাটা টেকনিক্যাল স্কুলের দেওয়াল ও দরজা আটকে অগস্টের শেষ থেকে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার কালীপুজোর মণ্ডপ। স্বর্ণকমলবাবুর পুত্র সন্দীপন ওই এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর। 

Advertisement

দেবারতি সিংহ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৪
Share:

রাস্তার একাংশ ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেট আটকে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। শনিবার, এস এন ব্যানার্জি রোডে। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুজোর এখনও এক মাস বাকি। কিন্তু আরও তিন সপ্তাহ আগে থেকেই ফুটপাত ও রাজপথের কিছুটা অংশ আটকে চলছে কালীপুজোর মণ্ডপ তৈরি। কোথাও কোনও বাধা নেই। কোনও প্রশ্নও তোলেনি কেউ। পাশেই থানা। এবং কার্যত নির্বিকার পুলিশ।

Advertisement

সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি রোডে ক্যালকাটা টেকনিক্যাল স্কুলের দেওয়াল ও দরজা আটকে অগস্টের শেষ থেকে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার কালীপুজোর মণ্ডপ। স্বর্ণকমলবাবুর পুত্র সন্দীপন ওই এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর।

কিন্তু এ বছরই আড়াই মাস আগে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ শুরু করার জন্য গড়িয়াহাটের একটি বারোয়ারি পুজো কমিটিকে নোটিস দিয়ে কৈফিয়ত তলব করেছিল পুলিশ। কমিটিকে তার জবাবও দিতে হয়। প্রশ্ন উঠেছে, এক যাত্রায় এই পৃথক ফল কেন?

Advertisement

কালীপুজোর নির্মীয়মাণ মণ্ডপের পাশেই নিউ মার্কেট থানা। পুজো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাঁরা অপারগ বলে দাবি করেছেন থানার ওসি পবিত্র মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘অনেক দিন আগে থেকেই ফুটপাত জুড়ে মণ্ডপ হচ্ছে দেখেছি। কিন্তু কেউ কোনও অভিযোগ না করলে কী ভাবে ব্যবস্থা নিই?’’

প্রশ্ন, সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি রোডের কালীপুজোর উদ্যোক্তা শাসক দলের প্রভাবশালী বলেই কি ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা? ওসির বক্তব্য, ‘‘আইন সকলের জন্য সমান। তবে মণ্ডপ কত দিন আগে থেকে শুরু করা যাবে, তার কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা নেই।’’

সেই নির্দেশিকা না থাকার ‘ফাঁক’ দেখিয়েই এই পুজো কমিটির উদ্যোক্তা ও কাউন্সিলর সন্দীপনবাবু বলেন, ‘‘মণ্ডপ শুরু করতে তো পুলিশের অনুমতি লাগে না! তবে এ বছর আমাদের পুজোর সুবর্ণ জয়ন্তী। মণ্ডপের কাঠামো তৈরি হচ্ছে লোহা দিয়ে। মণ্ডপ তৈরিতে এ বার সময় বেশি লাগবে। তাই আগেই কাজ শুরু হয়েছে।’’ ১২ ফুট চওড়া ফুটপাতের পুরোটাই আটকে এবং গাড়ি চলার রাস্তার চার ফুট মণ্ডপের দখলে। মণ্ডপটি ৯০ ফুট লম্বা এবং ৩৫ ফুট উঁচু। মণ্ডপের জেরে গাড়ির পাশ দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।

সেই অসুবিধা কমাতে সন্দীপনের সাফাই, ‘‘মণ্ডপের উল্টো দিকের ফুটপাত লাগোয়া রাস্তায় গাড়ি পার্কিং যাতে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।’’ আর ওসির বক্তব্য, ‘‘ফুটপাত আটকে রাখাটা ঠিক নয়। তবে রাস্তা অনেকটাই চওড়া। অসুবিধা হলে নিশ্চয়ই অভিযোগ পেতাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন