যে কোনও পার্কের ভিতরে শৌচালয় তৈরির কোনও নিয়ম নেই।
দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ে কলকাতা পুরসভার নব নির্মিত শিশু উদ্যানে শৌচালয় তৈরির প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক উঠল। যার প্রেক্ষিতে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, পার্কের ভিতরে শৌচালয় তৈরির কোনও নিয়ম নেই। তা করতে হলে শিশু উদ্যানের বাইরেই করতে হবে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, বিজয়গড়ে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের একটি জমি বহু দিন ধরে খালি পড়েছিল। সেখানেই নিয়মিত আবর্জনা ফেলা হত। স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, ২০১১ সালে সেখানে একটি পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। জমির মালিকানা পুনর্বাসন দফতরের হাতে থাকায় পুরসভা সেখানে পার্ক করতে পিছিয়ে যায়। প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য কলকাতা পুরসভাকে ওই জমি হস্তান্তর করতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়। সবুজ সঙ্কেত মেলার পরে তৎকালীন রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন মেয়র প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়ের সংসদ তহবিলের টাকায় প্রায় বছর তিনেক আগে কাজ শুরু হয়।
মৃত্যুঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘কাজ যখন অনেকটা হয়ে এসেছে, তখন স্থানীয় বরো চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের একাংশ সেখানে শৌচালয় তৈরির দাবি জানান। এ জন্য উদ্যানের পাঁচিলও ভাঙা হয়।’’ তাঁর দাবি, স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়, বাসিন্দারা এখানে যে প্রকল্প চাইবেন তা-ই করা হবে। গণস্বাক্ষর অনুযায়ী বেশিরভাগ বাসিন্দা শিশু উদ্যান চেয়েছিলেন। সেই চিঠি তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছিল বলে কাউন্সিলর জানান।
পুরসভার ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের এই জায়গাটি ১০ নম্বর বরোর অধীন। বরো চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘শিশু উদ্যানের মধ্যে নয়। উদ্যান লাগোয়া অংশে শৌচালয় হবে। এলাকায় শৌচালয় না থাকায় ব্যবসায়ীদের সমস্যা হচ্ছে। বিকল্প জায়গা না থাকায় ফাঁকা জমিতে শৌচালয় তৈরির কথা ভেবেছিলাম।’’ বিজয়গড় (পল্লিশ্রী মোড়) ও গাঁধী কলোনি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পার্থ বসুর দাবি, ‘‘এলাকায় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের জন্য কোনও শৌচালয় নেই। তাই স্থানীয় কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলাম।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘বিজয়গড়ে পুরসভা শিশু উদ্যান করছিল। সে কাজ শৌচালয় বিতর্কে বাধা পড়েছে। পুর কর্তৃপক্ষ পার্কে শৌচালয় তৈরির অনুমতি দেয়নি বলে জানি। আপাতত নির্বাচন প্রক্রিয়ার কারণে বন্ধ সে কাজ।’’