COVID-19

শুনানিতে সংক্রমণের শঙ্কা চিন্তা বাড়াচ্ছে কারা দফতরের

কারা দফতর মনে করছে, পরিজনেদের থেকে কোনও বন্দি সংক্রমিত হলে, জেলের ভিতরেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা পূর্ণ মাত্রায়।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২১ ০৭:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন রাজ্যের কারা দফতর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলগুলিতে কঠোর ভাবে কোভিড-বিধি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাইরের পরিবেশ থেকে বন্দিদের দূরে রাখা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে দফতর।

Advertisement

উল্লেখ্য, রাজ্যের ৬০টি বিভিন্ন স্তরের জেলে এই মুহূর্তে ২৫ হাজারের কাছাকাছি বন্দি রয়েছেন। নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যেই তাঁরা ঘোরাফেরা, কাজকর্ম, লেখাপড়া করে থাকেন। অনেক জায়গায় জেলের কুঠুরিও প্রশস্ত নয়। তাই ঘেরা জায়গায় সংক্রমণ ছড়ালে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে বলেই আশঙ্কা কারাকর্তাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদালতে পেশ করার সময়ে কিংবা বাড়ির লোকজন দেখা করতে এলেই বন্দিরা বাইরের পরিবেশ থেকে আসা লোকের সংস্পর্শে চলে আসেন। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করার সময়ে জেলকর্মীদেরও হাজির থাকতে হয়। ফলে তাঁদেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়।

এক কারাকর্তার কথায়, “ইতিমধ্যেই জেলে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বন্দি এবং জেলকর্মী, সবাইকেই দূরত্ব-বিধি মানতে অনুরোধ করা হয়েছে।”

Advertisement

কলকাতার আলিপুর মহিলা জেল ছাড়াও দমদম, ব্যারাকপুর–সহ বিভিন্ন জেলের আধিকারিকেরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে বন্দিদের জেল থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেওয়াতে পারলে ভাল হয়। গত বছরে করোনার সময়ে এ ভাবেই বন্দিদের হাজির করানো হচ্ছিল। ব্যারাকপুর জেল সূত্রের খবর, দু’-একটি ক্ষেত্র ছাড়া সেখানে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বন্দিদের আদালতে পেশ করা হচ্ছে। অথচ তার থেকে বড় দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দিদের এখনও সরাসরি আদালতে পেশ করতে হয়।

কারা দফতর মনে করছে, পরিজনেদের থেকে কোনও বন্দি সংক্রমিত হলে, জেলের ভিতরেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা পূর্ণ মাত্রায়। দমদম জেলে বিদেশি বন্দিরাও আছেন। সেখানে নতুন আসা বন্দিদের ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার আগে আমদানি ওয়ার্ডে রাখার নিয়ম। এই পরিস্থিতিতে আমদানি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার আগে তাঁদের জন্য আইসোলেশন এবং কোয়রান্টিন ওয়ার্ড চালু হয়েছে। আলিপুর মহিলা জেল সূত্রের খবর, বন্দিদের বোঝানো হয়েছে এই পরিস্থিতিতে বাড়ির লোক যেন কম সংখ্যায় আসেন। সেখানেও আইসোলেশন এবং কোয়রান্টিন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। বন্দিদের দ্রুত প্রতিষেধক দেওয়া নিয়েও পুরসভার সঙ্গে কথা চলছে।

উল্লেখ্য, গত বছর কোভিড আবহে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বিচারাধীন বন্দিদের দাবি ছিল, সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মতো তাঁদেরও প্যারোলে ছাড়তে হবে। এই দাবিতেই উত্তাল হয়ে ওঠে সংশোধনাগার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement