Coronavirus in Kolkata

সল্টলেক এবং নিউ টাউনে সংক্রমণ বাড়ছে আবাসনে

বিভিন্ন আবাসনে তাপমাত্রা পরীক্ষা ও জীবাণুনাশকের ব্যবহারের পাশাপাশি বাইরে থেকে কাগজ বা কোনও সামগ্রী এলে তা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০০:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিউ টাউন ও বিধাননগরের বিভিন্ন আবাসনে বাড়ছে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা। যা চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। এই অবস্থায় নিজেদের কী ভাবে সুরক্ষিত রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন আবাসিকেরা।

Advertisement

বিভিন্ন আবাসনে তাপমাত্রা পরীক্ষা ও জীবাণুনাশকের ব্যবহারের পাশাপাশি বাইরে থেকে কাগজ বা কোনও সামগ্রী এলে তা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দেওয়া হচ্ছে। পরে বাসিন্দারা সেখান থেকে তা সংগ্রহ করে নিচ্ছেন। সল্টলেকের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি আবাসনে জীবাণুনাশক টানেল বসানোর চিন্তাভাবনাও শুরু করেছেন আবাসিকেরা।

আর একটি আবাসনের আবাসিকদের কমিটির তরফে গৌতম মজুমদার জানান, আবাসনে ঢোকার সময়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। কিন্তু আরও সতর্ক হতে পোশাক পরিবর্তনের একটি পৃথক ঘর ও জীবাণুনাশক টানেল বসানোর কথা ভাবছেন তাঁরাও। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘বাসিন্দারা নিজেরা এ ভাবে এগিয়ে এলে প্রশাসনের পক্ষেও করোনা মোকাবিলা করতে সুবিধা হবে। ’’

Advertisement

বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, ঘরে ঘরে মানুষকে সচেতন করতে স্থানীয় ক্লাব ও সামাজিক সংগঠনগুলির মাধ্যমে প্রচার চলছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ক্লাব কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির কাছে আবেদন জানিয়ে

বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীরা যেন স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে রাখেন এবং প্রতিদিনের বদলে এক দিন অন্তর দোকান খোলেন। তাঁর কথায়, ‘‘সকলে এগিয়ে এলে নিশ্চিত ভাবে করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’’ বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, পরপর দু’দিন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই

কমেছে। তবে দুই, তিন ও চার নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ওই সমস্ত এলাকায় কী ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

সল্টলেকের মতো রাজারহাট-গোপালপুর এলাকাতেও করোনা পরীক্ষার কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা করেছে পুরসভা। এখন সেই জায়গা চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পাশাপাশি, সল্টলেকের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে জীবাণুনাশক টানেল, রোগীদের বসার জন্য ছাউনি ও পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুরসভা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন