Coronavirus

আপনার কি করোনা? হোয়াটসঅ্যাপ করলেই বাড়িতে এসে টেস্ট করবে পুরসভা

করোনা টেস্টের পাশাপাশি কো-মর্বিডিটি আছে এমন রোগীদেরও চিহ্নিত করতে চাইছে পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ২১:০৭
Share:

বাড়িতে বসে যাতে করোনা টেস্টের সুবিধা পাবেন নাগরিকেরা। ছবি: পিটিআই।

করোনা পরীক্ষার জন্য আর হয়রানি পোহাতে হবে না। এ বার বাড়িতে থেকেই জানতে পারবেন, আপনি করোনা আক্রান্ত কি না! শুধু একটি নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে নাম-ঠিকানা-সহ আবেদনে জানাতে হবে, করোনা টেস্ট করতে চাই। তা হলেই স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছে যাবে বাড়ির দোরগোড়ায়। সৌজন্যে কলকাতা পুরসভা

Advertisement

সম্প্রতি আরটিপিসিআর টেস্টের পাশাপাশি র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উপরে জোর দিয়েছে পুরসভা। প্রতিটি বরোতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে জানা যায় কেউ করোনা আক্রান্ত কি না। তার ফলে দ্রুত করোনা রোগীকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যায়। আটকানো যায় সংক্রমণও।

এ বার বাড়ি বসে যাতে করোনা টেস্টের সুবিধা নাগরিকেরা পেতে পারেন, সে কারণে শনিবার একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (৯৮৩০০৩৭৪৯৩)-এর কথা ঘোষণা করলেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “বিভিন্ন ওয়ার্ডে অ্যান্টিজেন এবং আরটিপিসিআর টেস্ট হচ্ছে। যত বেশি টেস্ট করা যাবে, তত দ্রুত করোনা রোগীদের চিহ্নিতও করা যাবে। ওই নম্বরে যে কেউ টেস্টের বিষয়ে জানাতে পারেন। কোনও ক্লাব বা কারও বাড়ি অথবা কোনও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যাবেন আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। তবে কমপক্ষে ২০ জন হতে হবে। প্রয়োজন মনে হলে, তাঁদের আরটিপিসিআরও টেস্ট করানো হবে।” তাঁর কথায়, “উপসর্গ না থাকলে অনেকেই টেস্ট করতে আগ্রহী হন না। এক বার টেস্ট হওয়ার পর যদি কারও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তাঁরা মনে করেন আর টেস্ট করার দরকার নেই। কিন্তু তাঁরা পরেও আক্রান্ত হতে পারেন। যত টেস্ট করা যাবে, তত দ্রুত করোনাকে আমরা হারাতে পারব।”

Advertisement

পুরসভায় ফিরহাদ হাকিম। —নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: অতিমারিতে ‘বলির পাঁঠা’ হয়েছেন তবলিগি জামাতরা, মন্তব্য আদালতের​

আরও পড়ুন: আডবাণী-জোশীদের নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আরও এক মাস সময় সিবিআই আদালতকে​

করোনা টেস্টের পাশাপাশি কো-মর্বিডিটি আছে এমন রোগীদেরও চিহ্নিত করতে চাইছে পুরসভা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা নাগরিকদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেবেন। যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ফিরহাদ। তিনি বলেন, “কলকাতায় যাঁরা বাড়িতে রয়েছেন, তাঁদের জন্য সার্ভে করা হবে। শারীরিক সমস্যা রয়েছে কি না, তার তথ্য স্বাস্থ্যভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। মাক্রোপ্ল্যানিং করা হবে। যাতে করোনা হলে, ওই তথ্য দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন