Coronavirus

পাড়ায় পাড়ায় ও বস্তিতে সমীক্ষার নির্দেশ মেয়রের

লালবাজার সূত্রের খবর, কবে কোন এলাকায় জ্বর মাপতে যাওয়া হবে, পুলিশ ও পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই তা ঠিক করে নেবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৫৫
Share:

ঘেঁষাঘেঁষি: করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাতেও ভিড় কমেনি শহরের কিছু ঘিঞ্জি এলাকায়। রাজাবাজারের একটি রাস্তা। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

কলকাতা পুরসভার অন্তত ৬০টি ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হওয়ায়

Advertisement

চিন্তিত পুর প্রশাসন। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া ও নারকেলডাঙা বস্তি এলাকায় স্বাস্থ্য সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে পুর প্রশাসন। এ বার শহরের প্রতিটি বস্তি এবং পাড়ায় ওই সমীক্ষা করতে নির্দেশ দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এর জন্য প্রতিটি বরোয় পুরসভার এক জন করে অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার শহরের একাধিক বরোয় বৈঠক হয়। যাতে যোগ দেন সংশ্লিষ্ট থানার পদস্থ আধিকারিকেরা। ঠিক হয়েছে, শহরের বিভিন্ন বস্তি এবং ঘিঞ্জি এলাকার প্রতিটি বাড়িতে যাবেন পুর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। কেউ সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বাসিন্দাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার কাজও হবে। ওই কাজে কেউ যাতে বাধা না দেন, তা নিশ্চিত করতে পুরকর্মীদের সঙ্গে থাকবে স্থানীয় থানার পুলিশও।

লালবাজার সূত্রের খবর, কবে কোন এলাকায় জ্বর মাপতে যাওয়া হবে, পুলিশ ও পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই তা ঠিক করে নেবেন। এর জন্য দু’পক্ষকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা ছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যানেরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকগুলিতে। সেখানে করোনা সন্দেহে কোনও ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানোর ক্ষেত্রে পুরসভার সাহায্য চেয়েছে পুলিশ। প্রতিটি এলাকায় যাতে পুরসভার অন্তত একটি করে অ্যাম্বুল্যান্স থাকে, তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, বিভিন্ন এলাকার কমিউনিটি হল বা অনুষ্ঠানবাড়িকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়েও কথা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোয়রান্টিন কেন্দ্র করা যাবে না। সেই কেন্দ্র কোথায় হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে। তবে যেখানেই হোক না কেন, সেখানে যাতে পুলিশের পাহারা থাকে, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, মেয়র নিউ টাউনে একাধিক ভবন দেখে এসেছেন। সেখানেই আরও কোয়রান্টিন কেন্দ্র করা হবে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: খাবার বিতরণ করলেন অস্থায়ী কর্মীরা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement