Coronavirus

পিপিই পরে জালিয়াতির ‘চেষ্টা’, জেল হেফাজত

অপর দুই অভিযুক্ত রোহিত মাঝি এবং নন্দীগাম জ্ঞানেশ্বর রাওকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী ফজলে আহমেদ খান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২০ ০৩:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে পিপিই পরে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল সেখানকারই তিন অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার হওয়া ওই তিন জনের মধ্যে এক জনকে শুক্রবার পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। তার নাম ধরমবীর রাম। অপর দুই অভিযুক্ত রোহিত মাঝি এবং নন্দীগাম জ্ঞানেশ্বর রাওকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী ফজলে আহমেদ খান।

Advertisement

এই মামলার সরকারি কৌঁসুলি জানান, ধরমবীর ওই প্রতারণা-চক্রের মূল চাঁই। তাকে জেরা করে চক্রে আরও কারা রয়েছে, তা জানা প্রয়োজন বলেই বিচারক তাকে সোমবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের ফিমেল বিভাগে ভর্তি এক বৃদ্ধার কাছে পিপিই পরে আসে হাসপাতালেরই চতুর্থ শ্রেণীর দুই অস্থায়ী কর্মী। তারা ওই রোগীকে জানায়, তিনি যে সব গয়না পরে আছেন সেগুলি হাসপাতালে পরে থাকা নিরাপদ নয়। তাই তিনি যেন সেগুলি খুলে দেন। তারাই ওই গয়না বৃদ্ধার পরিজনেদের হাতে তুলে দেবে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কথোপকথন শুনতে পান হাসপাতালের এক নার্স। তিনিই পুরো বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। রাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বৌবাজার থানায়। এর পরেই পিপিই পরা ওই দুই অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ধরা হয় আরও এক অস্থায়ী কর্মীকে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক, পিপিই এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার মূল সুরক্ষার কাজ করছে। তা ব্যবহার করে মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি ওই বৃদ্ধাকে প্রতারণা করায় চিন্তিত তদন্তকারীরা। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, পিপিই পরে থাকলে কাউকেই চেনা সম্ভব নয়। তারই সুযোগ নিয়েছিল ওই অস্থায়ী কর্মীরা। কয়েক মাস আগে তারা কাজে যোগ দিয়েছিল। একই সঙ্গে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে দেখার অনুমতি নেই পরিবারের সদস্যদের। তারও সুযোগ নিয়ে ওই প্রতারণা-চক্র কাজ করছে বলে দাবি পুলিশের একাংশের।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন