প্রয়াস: করোনা সচেতনতায় শহরে প্রচার পুলিশের। লেক ভিউ রোডে দূরত্ব-বিধি মানার জন্য গোল দাগ দিচ্ছে পুলিশ। সোমবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
করোনার মোকাবিলায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। রাস্তাঘাটে বেরোলে কিংবা বাজার-দোকানে গেলে কী ভাবে ওই দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, তা নিজে হাতে এঁকে দেখিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন যাতে সেই দূরত্ব-বিধি পালিত হয়, তার জন্য পুলিশকে নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। আর তার পরেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং দোকান-বাজারে গোল দাগ কাটা শুরু করেছেন পুলিশকর্মীরা।
লালবাজার জানিয়েছে, শহরে এখন আংশিক লকডাউন চলছে। তবে মুদি, মিষ্টি বা ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান সবই প্রায় খোলা থাকছে। সেই সব দোকানে আসা ক্রেতারা যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখেন, তার জন্যই প্রতিটি থানাকে ওই গোল দাগ এঁকে দিতে বলা হয়েছে। এ দিকে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত করোনা-বিধি মেনে মাস্ক না পরার জন্য ১৮২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজারের কর্তাদের কাছ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই বৌবাজার, শ্যামপুকুর, বড়তলা, গিরিশ পার্ক, পোস্তা এবং রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকায় পুলিশ রাস্তায় নেমে ওই গোল দাগ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। বাকি যায়নি অন্য থানার পুলিশও।
পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, প্রায় প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে, চায়ের দোকানে সব চেয়ে বেশি মানুষের জমায়েত হচ্ছে। অথচ, সরকারি তরফে চায়ের দোকান বন্ধের ব্যাপারে কোনও নির্দেশ আসেনি। সেখানে আবার গোল দাগ এঁকে দিলেও দূরত্ব-বিধি মানা কার্যত অসম্ভব। এই অবস্থায় শহরের বাসিন্দাদের একটি অংশের দাবি, করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ছোট ছোট চায়ের দোকান এবং পাড়ার মোড়ের জমায়েত বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিক রাজ্য সরকার।