প্রতীকী ছবি
কন্টেনমেন্ট জ়োন চিহ্নিত করে, এলাকা ঘিরে আগেই যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বিধাননগর পুর এলাকায়। এ বার অবস্থার গুরুত্ব বুঝে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
গত মাসের মাঝামাঝি থেকেই বিধাননগর এলাকায় একের পর এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের আধিকারিক। পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কম-বেশি ১৫টি ওয়ার্ডের একাধিক এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাগুইআটি ও বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা বেশি।
ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে পুরসভা। তবে বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, এ ভাবে এলাকার সম্পূর্ণ ছবি ধরা পড়বে না। সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে, কন্টেনমেন্ট জ়োনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলেই তা স্পষ্ট হবে। পুরসভা জানিয়েছিল, তারা স্বাস্থ্য দফতরকে প্রস্তাব দিয়েছে। অনুমতি পেলেই কাজ শুরু হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, শীঘ্রই শুরু করা হবে নমুনা সংগ্রহের কাজ। প্রতিটি কন্টেনমেন্ট জ়োনে এই কাজ হবে। রিপোর্ট পেলে আরও তথ্য সামনে আসবে। সেই অনুসারে পদক্ষেপ করা হবে। তবে গত দু’দিনে নতুন করে আক্রান্তের খবর আসেনি বলে জানিয়েছে পুর প্রশাসন। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, কন্টেনমেন্ট জ়োনে বাসিন্দাদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। কী ভাবে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে, তার প্রশিক্ষণ নিতে ১০ জনকে আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হবে। দু’দিন প্রশিক্ষণ চলার পরে শুরু হবে কাজ।