মৃত আরও দুই, সন্দেহ করোনা

মৃতদের এক জন বৃদ্ধ। তিনি বিধাননগর পুর এলাকার রাজারহাট-গোপালপুরের বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২০ ০৩:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি

বিধাননগর পুর এলাকা ও রাজারহাট পঞ্চায়েত এলাকা মিলিয়ে দু’টি হাসপাতালে শুক্রবার মৃত্যু হল দু’জনের। এর পরেই করোনার আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে রিপোর্ট পেলে ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতি। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার এক দফা জীবাণুমুক্ত করার কাজ হয়েছে বিধাননগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি এলাকায়। ওই এলাকার এক বাসিন্দা করোনার উপসর্গ নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি।

Advertisement

মৃতদের এক জন বৃদ্ধ। তিনি বিধাননগর পুর এলাকার রাজারহাট-গোপালপুরের বাসিন্দা। কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল বলে পুরসভা জানিয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই বৃদ্ধের করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল বলে শোনা যাচ্ছে। রিপোর্ট এলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

শুক্রবার আবার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি এলাকা পুলিশ ঘিরে দেয়। সেখানে জীবাণুমুক্ত করার কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক মাইকেল মণ্ডল।

Advertisement

আরও পড়ুন: কেন্দ্র বলল, বাংলায় ১০টি রেড জোন, প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্য বলল ৪

লাগাতার করোনার উপসর্গ নিয়ে লোকজনের হাসপাতালে ভর্তির খবরে উদ্বেগে পুর কর্তারা। বিধাননগরের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, সন্দেহ হলে প্রশাসন কোভিড পরীক্ষা করাবে। তবে সবার আগে এলাকায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। সেটাই করা হচ্ছে।

রাজারহাট গ্রামীণ এলাকাতেও এ দিন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার পরেই রাজারহাট-বিষ্ণুপুরের একটি এলাকা ঘিরে দিয়েছে পুলিশ। মাইকে প্রচার এবং এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর জানান, ৫-৬ দিন ধরে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি ভিআইপি রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। তাঁর অন্য অসুস্থতাও ছিল। ভিন্ রাজ্যের হাসপাতালেও তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। তাঁর করোনার উপসর্গ ছিল বলে মত চিকিৎসকদের। তাঁর বাড়ির সদস্যদের গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে কাজ শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন