coronavirus

হোমে আলাদা মহারাষ্ট্র ফেরত চার নাবালক

তাদের প্রত্যেককেই হোমের ভিতরে রাখা হয় বিচ্ছিন্ন ভাবে।

Advertisement

দীক্ষা ভুঁইয়া

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০ ০৫:১৫
Share:

প্রতীকী চিত্র।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র থেকে পালিয়ে এসে নিজেদের দেশে যেতে চেয়েছিল চার বাংলাদেশি নাবালক। কিন্তু রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায় শিশু কল্যাণ সমিতির কাছে। পরে সমিতির নির্দেশে ওই চার নাবালককে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই চার জন মহারাষ্ট্র থেকে এসেছে জেনেই আর দেরি করেননি হোম কর্তৃপক্ষ। তাদের প্রত্যেককেই হোমের ভিতরে রাখা হয় বিচ্ছিন্ন ভাবে। পাশাপাশি, উদ্ধার হওয়া অন্য দু’টি শিশুকেও আলাদা করে রাখা হয়েছে আগামী কয়েক দিনের জন্য।

Advertisement

তবে শুধু আলাদা করে রাখাই নয়, গত কয়েক দিন ধরে প্রতি মুহূর্তে তাদের উপরে নজর রেখে চলেছেন চাইল্ড লাইনের প্যারা-মেডিক্যাল কর্মীরা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কলকাতার পাশাপাশি আরও ছ’টি জেলায় চাইল্ড লাইন চালায়। এ শহরে তাদের দু’টি হোম রয়েছে। একটি মেয়েদের। অন্যটি ছেলেদের। দু’টি হোম মিলিয়ে বর্তমানে মোট ৪৬ জন নাবালক-নাবালিকা রয়েছে। হোমে থাকলেও শিশুকল্যাণ সমিতির নির্দেশে বাবা-মায়েরা অনেকেই তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। কিন্তু করোনা-আতঙ্কে সেই দেখা করা বন্ধ। লকডাউনের জেরে বাড়িতে ফিরে যাওয়ারও উপায় নেই। ফলে ছোটরা মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে।

কলকাতা চাইল্ড লাইনের কোঅর্ডিনেটর তথা বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রোগাম অফিসার দিলীপ বসু জানান, বাড়ির লোকজনকে দেখতে না পেয়ে শিশুদের যাতে মন খারাপ না হয়, তার জন্য ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বাবা-মায়েদের সঙ্গে কথা বলানো হচ্ছে। চলছে কাউন্সেলিংও। শুধু মানসিক সুস্থতা বজায় রাখাই নয়, ছোটরা যাতে বাইরের লোকের সংস্পর্শে না আসতে পারে, তা নিশ্চিত করতে রাঁধুনিকে সাময়িক ভাবে ছুটি দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হয়েছে বাইরে থেকে কর্মীদের আসা-যাওয়াও। চাইল্ড লাইন আর হোমের কর্মীরাই থাকছেন যাবতীয় কাজের জন্য।

Advertisement

অন্য দিকে, আড়িয়াদহের সরকারি হোম ধ্রুবাশ্রমেও নেওয়া হয়েছে কড়া সতর্কতা। সেখান থেকে একসঙ্গে ১৩টি আবাসিক পালিয়ে গেলেও এখনও অনেকে রয়েছে। এই সময়ে তারা যাতে কোনও ভাবে অসুস্থ হয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকের জন্য নতুন সাবানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজ়ারও। এমনকি, শিশুরা যাতে আপাতত কিছু দিন একে অপরের জিনিস ব্যবহার না করে, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তবে শুধু এই ক’টি হোম নয়, রাজ্য জুড়ে প্রায় সমস্ত হোমের জন্যই এই সময়ে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর। তবে সেই নির্দেশিকা লকডাউনের আগেই জারি করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেই অসুস্থতার গুরুত্ব বুঝে আবাসিকদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। যদি কারও জ্বর, সর্দি বা কাশি হয়, তাকে সঙ্গে সঙ্গে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন