Corona virus

প্রচারে ঘাটতি, তাই কি এত বেপরোয়া মেট্রোর যাত্রীরা

করোনা-পর্বে পরিষেবা শুরু হওয়ার পরে মেট্রো স্টেশনে মাস্ক ব্যবহার নিয়ে যাত্রীদের সচেতন করতে আগে অহরহ যে ঘোষণা শোনা যেত, এখন তা সম্পূর্ণ উধাও।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম 

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২১ ০৭:০৭
Share:

ফাইল চিত্র।

রাজ্যে আবার বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। যার জেরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্বেগও। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার মাস্ক ব্যবহার নিয়ে যাত্রীদের সচেতন করতে নামলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, মেট্রোর হাতে গোনা কিছু স্টেশনে অল্প সংখ্যক যাত্রীর মধ্যে নিয়ম রক্ষার প্রচারে জনতার উপকার কত দূর হবে, তা নিয়ে সংশয়ে মেট্রোযাত্রীদের বড় অংশ।

Advertisement

করোনা-পর্বে পরিষেবা শুরু হওয়ার পরে মেট্রো স্টেশনে মাস্ক ব্যবহার নিয়ে যাত্রীদের সচেতন করতে আগে অহরহ যে ঘোষণা শোনা যেত, এখন তা সম্পূর্ণ উধাও। এমনকি, মেট্রোর কামরাতেও ওই ঘোষণা আর শোনা যাচ্ছে না। যার জেরে যাত্রীদের একাংশের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব বাড়ছে বলে অভিযোগ। অনেকেই মনে করছেন, করোনা-বিধি পালন বা মাস্ক ব্যবহার এখন আর আগের মতো ততটা জরুরি বিষয় নয়। সেই কারণে মাস্ক পরে স্টেশনে ঢুকলেও চলন্ত ট্রেনের কামরায় অনেকেই তা নামিয়ে রাখছেন থুতনির নীচে। প্রবীণ নাগরিকদের আসনের কাছে বা মেট্রোর ভেস্টিবিউলের কাছ ঘেঁষে একেবারে মাস্কহীন যাত্রীও চোখে পড়ছে সব সময়ে। তাঁদের সতর্ক করার কোনও রকম চেষ্টা করতে গেলে উত্তর মিলছে, ‘‘করোনা তো এখন কমে এসেছে। মেট্রোয় কোনও ঘোষণা হচ্ছে না। শুধু আপনাদেরই যত সমস্যা!’’

প্রবেশপথে ‘নো মাস্ক নো মেট্রো’ লেখা নির্দেশের তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই। মাস্ক না পরে অথবা থুতনির নীচে তা নামিয়ে রেখেই দিব্যি ঢুকে পড়ছেন স্টেশনে। ইদানীং সব ক’টি মেট্রো স্টেশনেই স্ক্যানারের ব্যবহার শুরু হওয়ায় আরপিএফ কর্মীদের বড় অংশকেই ওই যন্ত্রের পাশে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় বলে যাত্রীদের বড় অংশের অভিযোগ। আর সেই সুযোগেই ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন মাস্কহীন যাত্রীরা।

Advertisement

বুধবার মেট্রোর তরফে আরপিএফ কর্মীদের একটি দল কবি সুভাষ এবং মাস্টারদা সূর্য সেন স্টেশনের মধ্যে একটি মেট্রোর বেশ কিছু কামরায় মাস্ক ব্যবহার নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার চালান বলে খবর। পরে কালীঘাট স্টেশনেও মেট্রোকর্মীদের একাংশ যাত্রীদের মাস্ক পরা নিয়ে সচেতন করেন। কিন্তু, কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত বিস্তৃত মেট্রোপথে এই প্রচারের কোনও ধারাবাহিকতা চোখে পড়েনি বলেই জানাচ্ছেন যাত্রীদের একাংশ।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে দুপুরের মেট্রো ধরে শ্যামবাজারে আসছিলেন সৌমেন দাস। তিনি বলেন, ‘‘মেট্রোর কামরায় থুতনির নীচে মাস্ক নামানো একাধিক যাত্রীকে দেখতে পেলাম। কামরায় সচেতনতামূলক প্রচার না থাকায় ওই যাত্রীরা নিজেদের মতো করে নিয়ম ভেঙেছেন। এই প্রবণতা খুবই বিপজ্জনক। মনে রাখা দরকার, করোনা কিন্তু আবার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।’’

ট্রেনের কামরায় মাস্ক ব্যবহার নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারের ছবি নিজেদের ফেসবুক পেজে দিয়েছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেখানে যাত্রীদের অনেকে ওই উদ্যোগের প্রশংসা করলেও অনেকেই মনে করছেন, মাস্ক নিয়ে প্রচার এখনও যথেষ্ট নয়। অনেক আগেই ওই প্রচার শুরু করা উচিত ছিল বলেও মনে করছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেট্রোর এক কর্তা বলেন, ‘‘মাস্কের ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার শুরু হয়েছে। দ্রুত ওই প্রচারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement