থানাকে তদন্তের নির্দেশ কোর্টের

এয়ারপোর্ট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনে ব্যারাকপুর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কিশোরীর মা। তাঁর আইনজীবী দিলীপ সরকার শর্মা শুক্রবার বলেন, ‘‘৪ সেপ্টেম্বর ব্যারাকপুর আদালতে পকসো আইনে অভিযোগ করেছিলেন কিশোরীর মা। আদালত এয়ারপোর্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছে, এফআইআর করে তদন্ত শুরু করতে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৩০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

এক কিশোরীকে অপহরণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিল তার পরিবার। মেয়েটিকে উদ্ধার করে আনলেও পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এমনকি মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা না করিয়েই তাকে বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

এয়ারপোর্ট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনে ব্যারাকপুর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কিশোরীর মা। তাঁর আইনজীবী দিলীপ সরকার শর্মা শুক্রবার বলেন, ‘‘৪ সেপ্টেম্বর ব্যারাকপুর আদালতে পকসো আইনে অভিযোগ করেছিলেন কিশোরীর মা। আদালত এয়ারপোর্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছে, এফআইআর করে তদন্ত শুরু করতে।’’

আইনজীবী জানিয়েছেন, বছর চোদ্দোর ওই কিশোরীর মাসতুতো দাদা ৩০ অগস্ট তাকে নিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেন বিমানবন্দরের কাছে একটি লজে। কিশোরীর বাবা-মা তা জানতে পেরে প্রথমে দমদম থানায় অভিযোগ করেন। সে দিনই এয়ারপোর্ট থানার পুলিশের সাহায্যে যুবক ও নাবালিকাকে নিয়ে আসা হয় থানায়। অভিযোগ, পুলিশ মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা না করিয়ে ছেড়ে দেয়। যুবককে এক রাত থানায় রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ৩১ অগস্ট মেয়ের শারীরিক পরীক্ষায় যৌন হেনস্থার প্রমাণ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, সেই রাতে কিশোরীর পরিজনেরা জানিয়েছিলেন, মেয়েকে নিয়ে গিয়ে দমদম থানায় অভিযোগ জানাবেন। তাই রাতে যুবককে আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, পরের দিন সকাল পর্যন্ত অভিযোগ না হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন