COVID-19

পুলিশের সুরক্ষায় ট্র্যাফিক গার্ডে আইসোলেশন রুম

ট্র্যাফিক পুলিশের কোনও কর্মীর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই তাঁকে কর্তব্য থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে পাঠানো হচ্ছে আইসোলেশন রুমে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৩৭
Share:

প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারণ করতেই কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডে চালু করা হল ‘আইসোলেশন রুম’।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, ট্র্যাফিক পুলিশের কোনও কর্মীর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই তাঁকে কর্তব্য থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে পাঠানো হচ্ছে আইসোলেশন রুমে। সেখানেই তাঁর করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে লালবাজার। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে ডিউটিতে ফেরানো হচ্ছে তাঁকে। আর পজ়িটিভ হলে আইসোলেশন রুম থেকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হচ্ছে চিকিৎসার জন্য।

কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ট্র্যাফিক গার্ডে একশোরও বেশি পুলিশকর্মী বা অফিসার একসঙ্গে থাকেন। তাঁদের কেউ আক্রান্ত হলে বাকিরা যাতে সংক্রমিত না হন, তার জন্যই ওই পৃথক ঘরের ব্যবস্থা।

Advertisement

ইতিমধ্যেই জোড়াবাগান, হাওড়া সেতু-সহ একাধিক এলাকার ট্র্যাফিক গার্ড সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই ‘আইসোলেশন রুম’ চালু করেছে। চলতি সপ্তাহেই জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডের এক পুলিশকর্মীর করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। আইসোলেশন রুমে রেখে তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। মঙ্গলবার রিপোর্ট এলে জানা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিটি থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে সতর্ক করেছে লালবাজার। পুলিশকর্মীরা যাতে মাস্ক ও ফেস শিল্ড পরেন এবং স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে রাখেন, তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, প্রতিদিন নিয়ম করে থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে জীবাণুমুক্ত করতেও বলা হয়েছে। তবে এ সবের কারণে বেপরোয়া এবং আইন অমান্যকারী চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে ঢিলেমি না আসে, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে।

ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের অনবরতই সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চালকের নথি হাতে নিতে হয় অফিসারদের। যা থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সেই কারণেই পুলিশকর্মীদের করোনা-বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।

এ দিকে, বুধবার সকাল থেকেই করোনা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে লালবাজারের নির্দেশে ফের রাস্তায় নেমেছে পুলিশবাহিনী। পোস্তা, মুচিপাড়ার মতো পাইকারি বাজার এবং জনবহুল এলাকায় এ দিন সাধারণ মানুষকে মাস্ক দিয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশ। চলেছে করোনা-বিধি মেনে চলার জন্য মাইকে প্রচারও। বুধবার রাত পর্যন্ত মাস্ক না পরার জন্য পুলিশ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন