শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ

জওয়ানদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানাগুলির আধিকারিকেরাও ছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় এক থেকে দু’সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। এ দিন মূলত এলাকার রাস্তাঘাট চেনানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০২:৫০
Share:

বন্ধু: রুট মার্চের মধ্যেই স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে আলাপচারিতা এক জওয়ানের। শনিবার, উত্তর কলকাতায়। ছবি: সুমন বল্লভ

লোকসভা ভোটের আগে শহরে ‘রুট মার্চ’ শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার বিকেল থেকে বৌবাজার, মানিকতলা, আমহার্স্ট স্ট্রিট, চিৎপুর, নিউ আলিপুর, চেতলা, উল্টোডাঙা ছাড়াও কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকাতেও রুট মার্চ করেন বিএসএফ জওয়ানরা।

Advertisement

জওয়ানদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানাগুলির আধিকারিকেরাও ছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় এক থেকে দু’সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। এ দিন মূলত এলাকার রাস্তাঘাট চেনানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। বিকেলে হঠাৎ জংলা উর্দি পরা ওই বাহিনীর টহলদারি দেখে অনেকেই বলেছেন, ভোটের দু’মাস আগেই নির্বাচনী আঁচ মালুম হচ্ছে মহানগরে। অনেকে আবার পুলওয়ামার স্মৃতি উস্কে দিয়েছেন। ফুটপাতে দাঁড়ানো কচিকাঁচারা হাত মিলিয়েছে জওয়ানদের সঙ্গে। বাদ যাননি বড়রাও।

ভোটারদের যাতে মনোবল বাড়ে, তার জন্য আগে থেকেই রাস্তায় বাহিনী নামিয়ে টহল দেওয়ানো হচ্ছে। এ দিন দেখা যায়, বিভিন্ন রাস্তায় জওয়ানদের সঙ্গে মোবাইলে ছবিও তুলছেন এলাকার লোকজন। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বৌবাজার থানা থেকে ১৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য গোপী বসু লেন, নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, দেবেন্দ্র মল্লিক স্ট্রিট, ফিয়ার্স লেন, নিউ সিআইটি রোড, ইডেন হসপিটাল রোড, কলেজ স্ট্রিট, যদুনাথ দে রোড ঘুরে ফের বৌবাজার থানায় পৌঁছয়। একই ভাবে বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা থেকে রুট মার্চে বেরোন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যেরা। ৩৭, ৩৮ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বেশির ভাগ রাস্তায় ঘোরেন তাঁরা। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা থেকে এ দিন বিকেল চারটে নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যেরা নস্করহাট, কুকরাহাট প্রভৃতি এলাকায় ঘোরেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কলকাতায় ভোট হতে দু’মাসেরও বেশি বাকি। এই প্রথম লোকসভা ভোটের এতটা আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাঠানো হল শহরে। এ দিন বিকেলে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হাতে বন্দুক নিয়ে ওই বাহিনীকে টহল দিতে দেখে পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুকদের মধ্যে চলছিল নানা ফিসফিসানি। কাউকে বলতে শোনা গেল, ‘‘এত আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী! আমরা তো কাশ্মীরে বাস করছি না!’’ কেউ কেউ আবার বলছেন, ‘‘ভালই তো, বাহিনী থাকলে নিরাপত্তাও জোরদার থাকবে।’’ বিধাননগর কমিশনারেটের রাজারহাট থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গাতেও শনিবার সকাল থেকে রুট মার্চ হয়। পুলিশ জানায়, সেখানে এক সেকশন আধা-সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়েছে। এ দিন কামদুনি, ধাড়সা, মহম্মদপুর, কালিকাপুর, শিখরপুরে রুট মার্চে বিধাননগরের পুলিশকর্তারাও ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement