ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে ৭২ ঘণ্টা। এখনও সল্টলেকে ডাকাতির কিনারা করতে পারল না পুলিশ। তবে, ডাকাত দলের সন্ধান পেতে ডেকরেটর্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন খেলনা সরবরাহকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত, সি ই ব্লকের ওই বাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনেই এসেছিল ডাকাতেরা। পুলিশ আরও জেনেছে, দুষ্কৃতীরা মণ্ডপ বাঁধার কাপড় দিয়ে ওই বাড়ির মহিলাদের হাত বেঁধেছিল। সেই সূত্র ধরে পুলিশ সল্টলেক ও কেষ্টপুরের ডেকরটর্স ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
সল্টলেকের এক ডেকরেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য রাজা বণিক বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে সব রকম সহযোগিতা করব। তবে মণ্ডপ বাঁধার কাপড় মিলেছে মানেই ডেকরেটর্সের শ্রমিকেরা ঘটনায় যুক্ত, এমন নয়। তবে কেউ সত্যিই যুক্ত থাকলে আমরা তাঁকে সমর্থন জানাব না।’’ রাজাবাবুর আবেদন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্রমিকদের মনে যেন অযথা আতঙ্ক তৈরি না হয়।
এর পাশাপাশি খেলনা সরবরাহকারীদের থেকেও তথ্য নিচ্ছে পুলিশ। কারণ পুলিশের অনুমান, ডাকাতিতে দুষ্কৃতীরা খেলনা বন্দুক ব্যবহার করেছিল। ঘটনাস্থল থেকে তেমনই কিছু সূত্র মিলেছে। তবে ক’জন দুষ্কৃতী দলে ছিল, তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। আক্রান্ত পরিবারের সদস্যেরা যে বিবরণ দিয়েছেন, তাতে ৭-৮ জনের বাইরেও কয়েক জন দুষ্কৃতী জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
তাই সি ই ব্লক ঘিরে যত রাস্তা আছে, সেগুলি বা কোনও বাড়ির সিসিটিভি থাকলে খোঁজ করে ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ নিশ্চিত, ডাকাত দলটির একাংশ থাকে সল্টলেকের বাইরে। এদের পিছনে পুরনো দুষ্কৃতীর হাত থাকতে পারে।
আক্রান্ত ওই পরিবারের সঙ্গে সোমবার দেখা করতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি মালিক অমরনাথবাবু আমার পরিচিত। ঘটনার কথা যা শুনলাম, তাতে নিরাপত্তার অভাব স্পষ্ট। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের আবেদন করছি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে
দিকেও পুলিশ প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া উচিত।’’