হেলে পড়া বাতিস্তম্ভই বাড়াচ্ছে বিপদ

এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় গাড়ির চাপ থাকে দিনভর। তার মধ্যে বেশির ভাগ বাতিস্তম্ভে আলো না জ্বলায় রাতে নিকষ অন্ধকারের মধ্যেই যাতায়াত করতে হয় চালকদের। সম্প্রতি এ নিয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটে অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

বিতান ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৭ ০১:৫১
Share:

বাতিস্তম্ভ আছে ঠিকই। কিন্তু বেশির ভাগেরই আলো জ্বলে না। কয়েকটি আবার বিপজ্জনক ভাবে হেলে রয়েছে। সেগুলি থেকে বেরিয়ে আসা তারে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়নি! ফলে কখনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, কখনও বা বেআইনি ভাবে গাড়ি দাঁড় করাতে গিয়ে কাত হয়ে থাকা বাতিস্তম্ভে ধাক্কা লাগছে মাঝেমধ্যেই। এর জেরে মৃত্যুও হয়েছে। এ ভাবেই কার্যত মরণফাঁদ হয়ে রয়েছে রাতের কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে।

Advertisement

এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় গাড়ির চাপ থাকে দিনভর। তার মধ্যে বেশির ভাগ বাতিস্তম্ভে আলো না জ্বলায় রাতে নিকষ অন্ধকারের মধ্যেই যাতায়াত করতে হয় চালকদের। সম্প্রতি এ নিয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটে অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা।

কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে এখন এক লেনের। বহু দিন ধরেই তা চার লেন হওয়ার কথা চলছে। এই রাস্তার ধারেই রয়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ পানশালা ও ধাবা। অভিযোগ, সেগুলির আশপাশেই গজিয়ে উঠেছে বেআইনি পার্কিং। বিপদ লুকিয়ে সেখানেও। সম্প্রতি হেলে থাকা বিদ্যুতের স্তম্ভে ধাক্কা খেয়ে জখম হন এক মোটরবাইক আরোহী। তারও আগে অন্ধকার রাস্তা থেকে গাড়ি নামিয়ে দাঁড় করাতে গিয়ে বাতিস্তম্ভে ধাক্কা খেয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক ট্রাকচালক ও খালাসির। পরপর দুর্ঘটনা সত্ত্বেও প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

Advertisement

সমস্যা সমাধানে প্রশাসনিক বৈঠকে আলোচনাও হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, চার লেনের কাজ শুরু হয়েও থেমে গিয়েছে। কাজ শুরুর সময়ে ওই খুঁটিগুলি রাস্তার মাঝখানে পড়ে যাওয়ায় সেগুলির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। কিছু কিছু খুঁটিতে এখনও রয়ে গিয়েছে সংযোগ। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্র বলেন, ‘‘কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে আলো লাগানোর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। পরিত্যক্ত খুঁটি সরানোর বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন