বিপদ বাড়ছে দক্ষিণ দমদমে

উত্তর শহরতলির বরাহনগরের ছবিটা অবশ্য তেমন নয়। গত বার অনেকে জ্বরে আক্রান্ত হলেও এ বার এখনও তেমন খবর নেই বলেই দাবি পুর কর্তাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত অভিযান হচ্ছে। সচেতনতার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৭ ০১:৪৭
Share:

জ্বরে মৃত্যু অব্যাহত দক্ষিণ দমদমে। এ বার মারা গেলেন পূর্ব সিঁথির মধুগড়ের এক বাসিন্দা। মৃতের নাম কার্তিকচন্দ্র সরকার (৪৯)। এ ক্ষেত্রেও পুরসভা মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত নয়। যদিও ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোমের উল্লেখ রয়েছে। অথচ পুরসভা জানাচ্ছে, মশার প্রকোপ তিনটি ওয়ার্ডেই সীমাবদ্ধ। সেখানে বিশেষ অভিযান চলছে। কিন্তু আতঙ্ক এতটাই ছড়িয়েছে যে অনেক বাসিন্দাই জানিয়েছেন, তাঁরা কিছু দিনের জন্য অন্যত্র থাকার কথা ভাবছেন।

Advertisement

উত্তর শহরতলির বরাহনগরের ছবিটা অবশ্য তেমন নয়। গত বার অনেকে জ্বরে আক্রান্ত হলেও এ বার এখনও তেমন খবর নেই বলেই দাবি পুর কর্তাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত অভিযান হচ্ছে। সচেতনতার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক জানান, প্রতি সন্ধ্যায় ঘিঞ্জি এলাকায় এলইডি স্ক্রিন লাগানো মোবাইল ভ্যানে ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে ২০ মিনিটের তথ্যচিত্র ‘আমার শহর’ দেখানো হচ্ছে। বাসিন্দারাও বলছেন, এ বছর অনেক বেশি তৎপর পুরসভা।

যদিও এলাকার বেশ কয়েকটি নির্মীয়মাণ বহুতলে জল জমে থাকছে বলে অভিযোগ পেয়েছে পুর প্রশাসন। অপর্ণাদেবী বলেন, ‘‘নোটিস পাঠিয়ে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। না শুনলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’’ তিনি জানান, নির্মীয়মাণ বাড়িগুলিতে তেল ছড়াতে হবে প্রোমোটারদেরই। কী ভাবে তেল ছড়াতে হবে, তা পুরসভা শিখিয়ে দেবে। চেয়ারম্যান পারিষদ (জঞ্জাল) দিলীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘যে সব কারখানা বা বাড়িতে ঢোকায় আইনত সমস্যা থাকছে, সেখানে বাইরের দিকে জঙ্গল ও আগাছা সাফ করা হচ্ছে। জল জমে থাকতে পারে, এমন জায়গায় নিয়মিত নজরদারি চলছে।’’

Advertisement

দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, পুরসভার তৎপরতা বাড়লেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পুর কর্তাদের দাবি, যে তিনটি ওয়ার্ডে সমস্যা হচ্ছে সেখানে মশা মারার তেল এবং ব্লিচিং ছড়ানোর পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ এবং সচেতনতার কাজও চলছে। আতঙ্ক থাকলেও কেউ এলাকা ছাড়ার কথা বলেননি বলে দাবি পুরসভার।

দক্ষিণ দমদমের চেয়ারম্যান ২১, ২৩, ২৫ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে কেন্দ্রের একটি পরিত্যক্ত কারখানা মশার আঁতুড় বলে অভিযোগ চেয়ারম্যানের। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনকে চিঠি পাঠাচ্ছে পুরসভা। পাশাপাশি চেয়ারম্যানের অভিযোগ, অনেকেই এলাইজা পরীক্ষা না করে শুধুমাত্র এনএস-১ পরীক্ষা করে বলে দিচ্ছে, ডেঙ্গি হয়েছে। এই প্রবণতা মারাত্মক। এতে আতঙ্ক বাড়ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন