কর্মী কম, তথ্য সংগ্রহ ঘিরে সংশয়

মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং সচেতনতার বার্তা দেওয়ার কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না বিধাননগরের পুরকর্মীদের। কেন সেই কাজ হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৪
Share:

বিধাননগর পুরসভা।

মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং সচেতনতার বার্তা দেওয়ার কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না বিধাননগরের পুরকর্মীদের। কেন সেই কাজ হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। কারণ হিসেবে বিধাননগর পুরসভার তরফে কর্মীসংখ্যার অপ্রতুলতার কথা জানানো হয়েছে। ফলে লোকসভা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই কাজ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। বাসিন্দাদের আরও প্রশ্ন, এই সময়ে কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে সেই তথ্য কী ভাবে পাবে পুর প্রশাসন? এই প্রসঙ্গে পুরসভা জানিয়েছে, ওয়ার্ডভিত্তিক যে সব কর্মীরা রয়েছেন, তাঁদের ব্যবহার করেই নজরদারি এবং তথ্য সংগ্রহের কাজ চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভার দাবি, ইতিমধ্যেই ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের একটি বড় অংশ সংস্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি কেষ্টপুর খালে নৌকা নিয়ে মশার তেল ছড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তা সত্ত্বেও মশার প্রকোপ কমছে না। সন্ধ্যার পর থেকে জানলা খোলা রাখাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাঁদের আরও বক্তব্য, ইএম বাইপাসের মুখ থেকে শুরু করে খালের বেশ কিছুটা অংশে মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে। ফলে বাকি অংশের স্থির জলেই সমস্যা থাকবে। মশার তেল ছড়িয়ে সমস্যা কমবে বলে তাঁরা মনে করছেন না।

বাসিন্দাদের অভিযোগ পুরোপুরি না মানলেও পুরসভার দাবি, মশা নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। খাল ছাড়া আর কোনও উৎস থেকে মশার প্রকোপ বাড়ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের আশা, মশার প্রকোপ কমবে।

Advertisement

পুরসভার দাবি, এ বছরে এখনও পর্যন্ত মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মেলেনি। তবে কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে জমা জলে লার্ভার সন্ধান মিলেছে। যদিও সচেতনতার ক্ষেত্রে এখনও পর্যাপ্ত সাড়া পাওয়া যায়নি।

পুর প্রশাসন জানিয়েছে, বছরের এই সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে মশার প্রকোপ কতটা বাড়ছে, মশাবাহিত রোগের প্রকোপ হল কি না, কেউ আক্রান্ত হলেন কি না— সেই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। সেগুলি বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়। তাই তথ্য সংগ্রহের কাজ জরুরি।

মশার প্রকোপ বেশি হওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়। তিনি জানান, মশা নিয়ন্ত্রণে কয়েক মাস ধরে লাগাতার কাজ চলছে। মশার দাপট আগের চেয়ে কমলেও এখনও কিছুটা রয়েছে। পাশাপাশি প্রণয়বাবু জানান, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মী সংখ্যার অভাব রয়েছে। তার মধ্যেও কাজ চালু রাখার চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনে ওয়ার্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন