(বাঁ দিকে) সিইও মনোজ আগরওয়াল। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরের সঙ্গে সংঘাতে জড়াল কলকাতা পুলিশ! দফতর সূত্রে খবর, সিইও মনোজকুমার আগরওয়ালের সঙ্গে সোমবার বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। সিইও দফতরের আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের দফতরের কথা মতো পুলিশ কাজ করছে না। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকেও বিষয়টি সিইও জানিয়েছেন বলে খবর।
সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিইও দফতরে ডেপুটেশন দিতে যান। সিইও দফতর থেকে তার আগে পুলিশকে জানানো হয়, সাংবাদিকদের দফতরের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হোক। সিইও দফতরের আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ওই কথা বলার পরে ৩০ মিনিট কেটে গেলেও পুলিশ কাউকে ঢুকতে দেয়নি।
সিইও দফতর সূত্রে খবর, এর পরে রাজ্যের সিইও মনোজ তিনতলায় নিজের চেম্বার থেকে নীচে চলে যান। তত ক্ষণে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন অতিরিক্ত সিইও দিব্যেন্দু দাস। কমিশনের একটি সূত্রের অভিযোগ, কড়া সুরে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা অতিরিক্ত সিইও-র উদ্দেশে জানান, সাংবাদিকেরা যাবেন বললেই হবে না। তাঁরা কোথায় যাবেন, স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে। কেন তা বলা হচ্ছে না, প্রশ্ন করেন ইন্দিরা। সূত্রের খবর, অতিরিক্ত সিইও তখন জানান, সিইও দফতরের দ্বিতীয় তলায় সাংবাদিকেরা যেখানে যান, সেখানেই যাবেন।
এই ঘটনায় সিইও মনোজ অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে খবর। সূত্রের খবর, ইন্দিরার আচরণে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বলার পরেও কেন তাঁর কথা মানা হবে না? ওই দফতর তাঁর। সেখানে কে প্রবেশ করবেন, তা তাঁর বিচার্য। নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ কাজ করুক, তাতে কোনও অসুবিধা নেই।
সোমবার সিইও দফতরে উত্তেজনা তৈরি হয়। সোমবার দুপুরে সিইও দফতরে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। সিইও মনোজের সঙ্গে সাক্ষাতের পূর্বনির্ধারিত সূচি ছিল তাঁর। এ দিকে আগে থেকেই সিইও দফতরের সামনে অবস্থান করছিলেন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’-র সদস্যেরা। শুভেন্দু এবং বিজেপির প্রতিনিধিদল সেখানে পৌঁছোতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা। উত্তেজনা সামাল দিতে সিইও দফতরের বাইরে আগে থেকেই পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বসানো হয়েছিল ব্যারিকেডও। সেই আবহেই সিইও-র সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা।