প্রতীকী ছবি।
সন্ধ্যায় গুনতির সময়ে মিলছিল না বন্দির সংখ্যা। বারবার গোনাতেও এক জন বন্দি কম হচ্ছিল। শেষে চারদিকে তল্লাশি চালানোর সময় দেখা গেল, জেলের মন্দিরের পিছনে গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে ওই বন্দির দেহ। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।
দমদম জেল সূত্রের খবর, ওই বিচারাধীন বন্দির নাম পলাশ মণ্ডল (২২)। তিনি বিধাননগর দক্ষিণ থানার কুলি পাড়ার বাসিন্দা। গত ৩১ জানুয়ারি থেকে তিনি ওই জেলে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকার এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এ দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বন্দি গোনার কাজ করছিলেন জেলের কর্মীরা। সেই সময় বারবারই এক জন কম হচ্ছিল। তখন জেলের ‘সার্চ পার্টি’ বিভিন্ন দিকে তল্লাশি শুরু করে। তখন দেখা যায় জেলের মন্দিরের পিছনে একটি বটগাছে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলছে ওই বিচারাধীন বন্দির দেহ।
জেলের আধিকারিকদের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। তাঁরা জানান, ঘটনার আধ ঘণ্টা আগেও ওই মন্দিরে পুজো, কীর্তন চলছিল। সেই সময় অনেক বন্দি সেখানে ভিড়ও করেছিলেন। তখনই কোনও ভাবে ওই যুবক এই কান্ড ঘটিয়েছেন বলে মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের অনুমান, কীর্তন শেষ হতে মন্দির থেকে সকলে চলে যেতেই গাছের ডালে গামছা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন পলাশ। পুরো ঘটনাটি ঘটেছে খুব কম সময়ের মধ্যে। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ম্যাজিস্ট্রেট এবং মৃতের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ নামানো হবে বলে জানান সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।