প্রতীকী ছবি।
নিছক সফটওয়্যার ডেভেলপার নয়, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে সব চেয়ে বেশি চাহিদা হ্যাকারদের। কিন্তু এই হ্যাকারদের অপরাধী নয়, বরং গোয়েন্দা বলা যেতে পারে। শুক্রবার ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত ‘এথিক্যাল হ্যাকিং’ সংক্রান্ত কর্মশালায় এ কথাই জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্ডিয়ান স্কুল অব এথিক্যাল হ্যাকিং-এর অধিকর্তা সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এখন বছরে পাঁচ লক্ষ এথিক্যাল হ্যাকার প্রয়োজন। সেখানে মাত্র ৫০ হাজার এথিক্যাল হ্যাকার রয়েছেন।’’ এথিক্যাল হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের কথা মেনেছেন বৈঠকে হাজির পুলিশকর্তারাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্যাকিং শব্দটির সঙ্গে সাইবার অপরাধীরা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কিন্তু হ্যাকারদের শায়েস্তা করতেও হ্যাকিং জানতে হয়। সেই কৌশলকে বলে ‘এথিক্যাল হ্যাকিং’ অর্থাৎ যেখানে নৈতিকতা থাকে। বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে ভাবে তথ্য চুরি ও সাইবার হানা বাড়ছে তা ঠেকাতেও এই এথিক্যাল হ্যাকারদের প্রয়োজন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির প্রধান মহুয়া চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অপরাধমুক্ত সমাজ গ়়ড়তে এথিক্যাল হ্যাকারদের প্রয়োজন আছে।’’
জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর (এনসিআরবি) তথ্য বলছে, দেশে সাইবার অপরাধ বা়ড়ছে। পুলিশের একাংশের মতে, এই অপরাধের অনেকটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়। এ দিন কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে হ্যাকিং বেশি হয়। ফলে এ ক্ষেত্রে হ্যাকিং ঠেকানোর ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’’