Sanskrit Textbook

এ বছরেও সংস্কৃত পাঠ্যবই বিনামূল্যে নয় কেন, ক্ষোভ শিক্ষক মহলে

শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, সংস্কৃতের পাঠ্যবই বাজার থেকে কিনতে গেলে সহায়িকাবইও কেনার জন্য জোর করেন প্রকাশকেরা। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক অবশ্য জানাচ্ছেন, সপ্তম ও অষ্টম— শুধু এই দুই শ্রেণিতে সংস্কৃত পড়তে হয় ছাত্রছাত্রীদের।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:১২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দু’টি বিষয় বাদে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাকি সমস্ত বিষয়ের পাঠ্যবই বিনামূল্যে পায় ছাত্রছাত্রীরা।ব্যতিক্রম শুধু সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির সংস্কৃত এবং হিন্দির পাঠ্যবই। যা বাইরে থেকে কিনতে হয় তাদের। চলতি বছরেও সেই নিয়মের পরিবর্তন হল না। যা দেখে শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, প্রায় সব বাংলা মাধ্যম স্কুলেই সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে সংস্কৃত নেয় বেশ কিছু পড়ুয়া। তাই শিক্ষা দফতর থেকে সংস্কৃতের পাঠ্যবই বিনামূল্যে দেওয়া জরুরি। পড়ুয়াদের এই বই কেন বাজার থেকে কিনতে হবে?

শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, সংস্কৃতের পাঠ্যবই বাজার থেকে কিনতে গেলে সহায়িকাবইও কেনার জন্য জোর করেন প্রকাশকেরা। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক অবশ্য জানাচ্ছেন, সপ্তম ও অষ্টম— শুধু এই দুই শ্রেণিতে সংস্কৃত পড়তে হয় ছাত্রছাত্রীদের। তাই অন্য বিষয়েরপাঠ্যবইয়ের তুলনায় সংস্কৃতের বইয়ের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে খুব বেশি হয় না। ছাপাখানা থেকে এত কম বই ছাপানো নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘সংস্কৃত নিয়ে পড়ার জন্য আমরা পড়ুয়াদের নানা ভাবে উৎসাহিত করছি। আরও বেশি পড়ুয়া সংস্কৃত নিলে এর বই বিনামূল্যে দেওয়া হবে।’’

যদিও শিক্ষকদের একাংশ সংস্কৃতে পড়ুয়া কম, এই যুক্তি মানতে রাজি নন। এক শিক্ষক বলেন, ‘‘বাংলা মাধ্যম স্কুলে প্রায় সকলে সংস্কৃত নেয়। পড়ুয়া একেবারে কম নয়। তার চেয়েও বড় কথা, পড়ুয়া কম হলেও কেন সংস্কৃতের বই ছাপা হবে না? নবম ও দশমে অঙ্ক বই বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এমনকি, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়ারা ইংরেজিতে লেখা অঙ্ক বই নিখরচায় পায়। এমন বইয়ের সংখ্যা তো খুব কম। ইংরেজিতে লেখা অত কম সংখ্যক অঙ্ক বই যদি শিক্ষা দফতর বিনামূল্যে দিতে পারে, তা হলে সংস্কৃত বই দিতে অসুবিধা কোথায়?’’

শিক্ষকেরা জানান, তাঁরা প্রতি বছরই সংস্কৃত বই শিক্ষা দফতর থেকে বিনামূল্যে দেওয়ার দাবি তোলেন। ‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসের অভিযোগ, ‘‘বাজার থেকে যে সংস্কৃত বই ছাত্রছাত্রীরা কেনে, সেগুলির মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেক্সট বুক নম্বর (টিবি নম্বর) নেই। যার অর্থ, সংশ্লিষ্ট বইগুলি পর্ষদ অনুমোদিত সংস্কৃত বই নয়। স্বাভাবিক ভাবেই, কোন বেসরকারি প্রকাশনার বই ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হবে, তা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যেএকাধিক মত রয়েছে। তার উপরে কোন প্রকাশনার কোন সংস্কৃত বই ক্লাসে পড়ালে ভাল, সেই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের তরফেও নানা রকমের সুপারিশ আসতে থাকে।’’

এর পাশাপাশি শিক্ষকদের আরও অভিযোগ, বছর শেষ হতে চললেও এখনও নতুন শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে পারল না মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২ জানুয়ারি ‘বুক ডে’-তে অনেক স্কুল ডায়েরি দেয় পড়ুয়াদের। তাতে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার দেওয়া থাকে। ফলে, এই ক্যালেন্ডার দিতে দেরি হলে ডায়েরিতে তা ছাপা যাবে না। পর্ষদ অবশ্য জানিয়েছে, দ্রুত অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন