অপরিষ্কার হস্টেলে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে অধ্যক্ষ ও হস্টেল সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, গত দেড় মাসে ৩৩ নম্বর লিন্টন স্ট্রিটের হস্টেলের ২৩ জন আবাসিক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জনই প্রথম বর্ষের ছাত্র। অধিকাংশই হস্টেলের এক তলার বাসিন্দা। নিয়মিত হস্টেল পরিষ্কার হয় না ও মশা মারার তেল ছড়ানো হয় না বলেই মশার বাড়বাড়ন্ত বলে তাঁদের অভিযোগ।
যদিও কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যাটা বড়জোর দুই বা তিন। হস্টেল নোংরা থাকার জন্য দায়ী আবাসিকেরাই। স্থানীয় পুরপিতা কাইজার জামিলের বক্তব্য, ‘‘পাঁচ-ছ’মাস আগে ওখানে কয়েক জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ওখানে ডেঙ্গি হওয়ার রিপোর্ট আমার কাছে আসেনি।’’
স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অবশ্য জানাচ্ছে, রাজ্যে গত বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত যত জন ডেঙ্গি রোগীর সন্ধান মিলেছিল, এ বছর ওই একই সময়ে সংখ্যাটা তার থেকে ১৫৩টি বেড়েছে। কলকাতায় গত বছর ওই ছ’ মাসে ডেঙ্গির ৮৪টি ঘটনা পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে চলতি বছরে ওই ছ’মাসে সংখ্যাটা হয়েছে ১২৭।
প্রশ্ন উঠেছে, বর্ষা পুরোদমে শুরু না হতেই যদি ডেঙ্গি এ ভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা হলে পুরোদস্তুর বর্ষা নামলে কী হবে? স্বাস্থ্যকর্তারা কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তপন মুখোপাধ্যায়ের যুক্তি, ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে এটা ভাবা ঠিক নয়। প্রতি বছর ডেঙ্গি-আক্রান্ত খুঁজে বার করার প্রক্রিয়া আরও আধুনিক হচ্ছে। ফলে বেশি ঘটনা চিহ্নিত হচ্ছে। আগেও হয়তো একই সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হতেন, কিন্তু তা জানা যেত না।