—ফাইল চিত্র।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা পঞ্চায়েত আসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে রাজ্যের প্রচুর গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ গঠনের কাজ আটকে গিয়েছে। গত বছর ডেঙ্গি ও অজানা জ্বর মহামারীর আকার নিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকে। সেখানে দেগঙ্গা ১, চাঁপাতলা, চাকলা, নুরনগর ও হাদিপুর-ঝিকরা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও তৈরিই হয়নি।
ইতিমধ্যেই ওই সমস্ত এলাকায় জ্বর ও ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত গঠিত না হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে মশা মারার কাজ। তবে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ডেঙ্গি ও অজানা জ্বর প্রতিরোধের কাজ বিডিও-দের মাধ্যমেই করা হচ্ছে। নিয়মিত মশা মারা ও জঞ্জাল সাফাইয়ের কা়জ তাঁরাই তত্ত্বাবধান করছেন। জেলাশাসক অন্তরা আচার্য সোমবার বলেন, ‘‘প্রশাসন ডেঙ্গি প্রতিরোধে নেমেছে। প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। এ বছর দেগঙ্গায় পরিস্থিতি গত বারের চেয়ে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণে।’’
তবে এলাকা সাফাই থেকে শুরু করে ডেঙ্গি প্রতিরোধে বড় ভূমিকা থাকে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পুরসভার। গত বছর চাঁপাতলা পঞ্চায়েতে ডেঙ্গি আর অজানা জ্বরে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছিল। সেখানে এখনও নতুন পঞ্চায়েত তৈরি হয়নি। একই অবস্থা দেগঙ্গা ১, চাকলা, নুরনগর ও হাদিপুর-ঝিকরা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতেও।
সমস্যায় পড়েছে পড়ুয়ারাও। বর্তমানে প্রথম শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত সংখ্যালঘু বৃত্তির আবেদন চলছে। এর জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের শংসাপত্র ও সই প্রয়োজন। প্রধান না থাকায় বঞ্চিত হচ্ছে বহু পড়ুয়া। ওবিসি ও তফসিলি এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা আবেদন করতে না পেরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জন্ম-মৃত্যু ও আয়ের শংসাপত্র পেতেও হয়রানি হচ্ছে।