Transport Department

কার্ড দিয়ে বকেয়া প্রদান পরিবহণ দফতরে, থাকছে কিউআর কোডও

অভিযোগ উঠছে যে, কর সংক্রান্ত বকেয়া অনলাইনে মেটানোর সুযোগ থাকলেও প্রায়ই লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে দীর্ঘ সময় লাগে। নেটওয়ার্ক এবং সার্ভারের সমস্যায় বেগ পেতে হয়। বেশি সময় নেওয়ার পাশাপাশি মাঝপথে লিঙ্ক কেটে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই ওই পদ্ধতি এড়িয়ে চলেন।

ফিরোজ ইসলাম 

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পথকর, গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার শংসাপত্র-সহ বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার জন্য পরিবহণ দফতরের বকেয়া নগদে মেটাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় গাড়ির মালিকদের। তাঁদের অভিযোগ, প্রায়ই ওই সব বকেয়া নগদে মেটাতে গিয়ে একাধিক চালান এবং ফর্ম পূরণ করার ঝক্কি পোহাতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকদের অনেকেই দালালের দ্বারস্থ হন। এতে নির্দিষ্ট খরচের চেয়ে অনেক বেশি টাকা ঘুরপথে খরচ হয়, বাড়ে দুর্নীতিও।‌

পাশাপাশি, এই অভিযোগও উঠছে যে, কর সংক্রান্ত বকেয়া অনলাইনে মেটানোর সুযোগ থাকলেও প্রায়ই লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে দীর্ঘ সময় লাগে। নেটওয়ার্ক এবং সার্ভারের সমস্যায় বেগ পেতে হয়। বেশি সময় নেওয়ার পাশাপাশি মাঝপথে লিঙ্ক কেটে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই ওই পদ্ধতি এড়িয়ে চলেন।

পরিবহণ দফতরের বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয়ে গাড়ির মালিকদের এমন নানাবিধ সমস্যা লাঘব করতে এ বার পিওএস (পয়েন্ট অফ সেলিং বা পস যন্ত্র) এবং কিউআর কোডের পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। নতুন ব্যবস্থায় নগদ ছাড়াই কার্ড সোয়াইপ করে অথবা নির্দিষ্ট কিউআর কোড স্ক্যান করে সরাসরি বকেয়া মেটাতে পারবেন গাড়ির মালিকেরা। এতে নগদ লেনদেনের ঝক্কি কম হওয়ার পাশাপাশি পরিবহণ দফতরে দালাল-চক্রের রমরমা কমবে বলেও মনে করছেন দফতরের আধিকারিকদের একাংশ।

ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য রাজ্যের অর্থ দফতরের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র মিলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। ব্যাঙ্কের তরফে ৫১০টি পস যন্ত্র পরিবহণ দফতরকে দেওয়া হবে বলে খবর। এর মধ্যে প্রায় ৪০০টি যন্ত্র পরিবহণ দফতরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের আধিকারিকেরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জরিমানা আদায় করার জন্য ব্যবহার করবেন। বাকি ১১০টি যন্ত্র রাজ্যের বিভিন্ন আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরে ভাগ করে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন বিপণিতে কেনাবেচার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা যথেষ্ট জনপ্রিয় হলেও পরিবহণ দফতরে এত দিন তা ছিল না। নতুন এই ব্যবস্থা চালু হলে কর এবং জরিমানা মেটানোর প্রক্রিয়া অনেক সরল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কাল, বুধবার ওই ব্যবস্থাপনা চালু করার জন্য কসবায় স্টেট ব্যাঙ্ক এবং পরিবহণ দফতরের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা।

এ ছাড়াও, পুলিশের ট্র্যাফিক সার্জেন্টদের ধাঁচে পরিবহণ দফতরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের আধিকারিকদের জন্যও এ বার বডি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। এর জন্য পরিবহণ দফতর প্রায় ৬০০ বডি ক্যামেরা কিনতে চলেছে। সেই সঙ্গে দফতরের আধিকারিকদের কাজের সুবিধার জন্য প্রায় ৬০০টি ফ্লুরোসেন্ট টেপ দেওয়া জ্যাকেট, ব্লিঙ্কার লাইট এবং গাড়ি আটক করার জন্য ১২০০টি কাঁটা কিনছে পরিবহণ দফতর। ওই সব কাঁটা গাড়ির চাকায় লাগানোর জন্য ব্যবহার করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন