আরও উন্নত পরিকাঠামো, তবু সরে না আবর্জনা

বাগুইআটি, হাতিয়াড়া, জ্যাংড়া কেষ্টপুর, জগৎপুর, অশ্বিনীনগর, বাগজোলা খালের দু’পাড় থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় আবর্জনা দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রতিটি ওয়ার্ডেই সাফাইকর্মী আগের তুলনায় বেড়েছে। উন্নত করা হয়েছে পরিকাঠামোও। এমনই দাবি করেন বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

কিন্তু বাগুইআটি এলাকায় বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে, বাসস্ট্যান্ডে, অলিগলিতে আবর্জনার স্তূপ এই দাবির উল্টো ছবিই তুলে ধরছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবর্জনা তোলার পরে এক জায়গায় রাখা থাকে। কিন্তু নিয়মিত তা সরিয়ে নিয়ে গেলে সমস্যা কম হত। বিকেল পর্যন্ত সেই আবর্জনা পড়ে থাক‌ছে। দুর্গন্ধে ভরে থাকছে চারদিক। পুরসভা অভিযোগ পুরোপুরি স্বীকার না করলেও দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে।

বাগুইআটি, হাতিয়াড়া, জ্যাংড়া কেষ্টপুর, জগৎপুর, অশ্বিনীনগর, বাগজোলা খালের দু’পাড় থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় আবর্জনা দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। তার মধ্যে থার্মোকলের বিভিন্ন সামগ্রী থেকে শুরু করে প্লাস্টিকজাত সামগ্রীও রয়েছে। সেখানে জল জমে থাকে। ফলে মশার উপদ্রব বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

Advertisement

স্থানীয়দের একাংশের মতে, সল্টলেকে যে ভাবে রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখা হয়, তুলনায় সেই তৎপরতা রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় নিয়মিত দেখা যায় না। বাগুইআটি মোড়ের কাছে মিনি বাসস্ট্যান্ডের কাছে, জ্যাংড়া বটতলা থেকে শুরু করে অলিগলিতেও আবর্জনা দুপুর পর্যন্ত পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু কেন এমন অবস্থা? বিধাননগর পুরসভা অবশ্য অভিযোগ পুরোপুরি মানতে নারাজ। তাদের দাবি, বিধাননগর পুরসভার ৪১টি ওয়ার্ডে সাফাই কর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছে। গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত কাজ করছেন। তবে নিশ্চিত ভাবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।

আবাসিক এলাকার পাশাপাশি ভিআইপি রোডের ধারেও অনেক জায়গায় আবর্জনাময় ছবি উঠে আসছে। ভিআইপি রোড পূর্ত দফতরের অধীন। ওই রাস্তার দেখভাল পূর্ত দফতরই করে বলে দাবি পুরসভার। পূর্ত দফতরের এক আধিকারিকের অবশ্য দাবি, নিয়মিত রাস্তা সাফ করা হয়। রাস্তার ধারের এলাকা পুরসভার আওতাধীন।

বাগুইআটির বাসিন্দা কংগ্রেস নেতা সোমেশ্বর বাগুই জানান, বাগুইআটি, জ্যাংড়া হাতিয়াড়ায় একাধিক জায়গায় আবর্জনা পড়ে থাকে। সল্টলেকের ধাঁচে যদি পুরসভা এই সব এলাকাতেও আবর্জনা সাফাইতে জোর দেয় তা
হলে ভাল হয়।

যদিও পুর প্রশাসনের একাংশের কথায়, বাড়ি বাড়ি থেকে ময়লা এক জায়গায় জড়ো করা হয়। তার পরে তা সরানো হয়। ফলে সামগ্রিক ভাবে এলাকা থেকে আবর্জনা সরাতে সময় কিছুটা লাগবে। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে সাফাই কর্মী রয়েছেন। সাফাই হয় না এমন অভিযোগ আসেনি। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন