গোপাল জালে পড়তেই জামিন চেলা দিলীপের

গিরিশ পার্ক কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গোপাল তিওয়ারি ধরা পড়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেল তার ঘনিষ্ঠ দিলীপ সোনকার। তাকে জোড়াসাঁকো থানার একটি অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার করেছিল লালবাজার। এত দিন সে পুলিশ হাজতে ছিল। শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী শুভেন্দু ঘোষ দিলীপকে জেল হাজতে পাঠানোর আর্জি জানান। কিন্তু অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার করা হলেও দিলীপের কাছ থেকে কোনও অস্ত্র মেলেনি। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনকুমার সরকার দিলীপকে অন্তর্বর্তী জামিন দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৫ ০৩:০৫
Share:

গোপাল তিওয়ারি।—ফাইল চিত্র।

গিরিশ পার্ক কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গোপাল তিওয়ারি ধরা পড়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেল তার ঘনিষ্ঠ দিলীপ সোনকার। তাকে জোড়াসাঁকো থানার একটি অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার করেছিল লালবাজার। এত দিন সে পুলিশ হাজতে ছিল।

Advertisement

শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী শুভেন্দু ঘোষ দিলীপকে জেল হাজতে পাঠানোর আর্জি জানান। কিন্তু অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার করা হলেও দিলীপের কাছ থেকে কোনও অস্ত্র মেলেনি। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনকুমার সরকার দিলীপকে অন্তর্বর্তী জামিন দেন।

লালবাজারের অন্দরের অবশ্য খবর, গোপাল তিওয়ারি ধরা পড়ার পর দিলীপকে আটকে রাখার আর তেমন দরকার নেই বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। কারণ, অস্ত্র মামলায় তাকে ধরা হলেও গোয়েন্দাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল দিলীপের থেকে গোপালের খবর জানা। গোপাল ভিন্ রাজ্যে গা-ঢাকা দিয়ে থাকার সময় চেলা দিলীপই তোলাবাজির টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে তাকে পাঠাত। দিলীপ ধরা পড়ায় গোপালের টাকার জোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই গোপালের ফিরে আসার পিছনে টাকার অভাব একটা বড় কারণ বলে গোয়েন্দাদের দাবি।

Advertisement

কোন কোন ব্যবসায়ী দিলীপকে টাকা পাঠাতেন, তার হদিস পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তাঁরা বলছেন, হাওড়ার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল গোপাল। না দিলে তাঁর জমি দখল করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। ওই ব্যবসায়ী দিলীপের হাতে ৪ লক্ষ টাকা দেন। সেই টাকা গোপালের বাড়িতে পাঠানোর পরেই ধরা পড়ে দিলীপ। হাওড়ার ওই ব্যবসায়ী ছাড়া আরও দু’জন গোপালকে টাকা দিয়েছিলেন বলে পুলিশ জেনেছে।

গোয়েন্দারা বলছেন, শহরে ফিরেও তোলাবাজির চেষ্টা করেছিল গোপাল। দমদমে থাকার সময় একটি বড় মন্দিরের পুরোহিতের কাছে সে টাকা চেয়েছিল। সে সময় দমদম থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। ওই মন্দিরের সিসিটিভির ফুটেজ জোগাড় হয়েছে। গোপালকে ধরার পর এ বার তার সূত্রে দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকেও খুঁজছে লালবাজার। এদের মধ্যে এক জন বন্দর এলাকার এবং অন্য জন বিহারের। এই দু’জনের কাছ থেকেই গোপাল নিয়মিত অস্ত্র সংগ্রহ করত বলে পুলিশের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন