কল খুলতেই জলে কিলবিল

মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির বাসিন্দারা কলের মুখে জালকাপড় পরিয়ে রেখেছেন। তিনতলার বাসিন্দা মীরা জায়সবাল সেই জালকাপড় খুলে দেখালেন পোকা নড়াচড়া করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৭ ০৮:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

পানীয় জলে কিলবিল করছে পোকা! তিন-চার দিন ধরে সে ভাবেই চলছে। এমনই অভিযোগ উত্তর কলকাতার ১১৯ নম্বর বিবেকানন্দ রোডের বাসিন্দাদের। ওই বাড়ির মালিক চর্মরোগের এক চিকিৎসক। তাঁর পাঁচতলা বাড়িতে ন’টি পরিবার ভাড়া থাকে। নাট্য ব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ওই বাড়িতেই থাকেন। প্রথমে বাড়ির মালিক, পরে পুরসভার কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দাদের অনেকেই।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির বাসিন্দারা কলের মুখে জালকাপড় পরিয়ে রেখেছেন। তিনতলার বাসিন্দা মীরা জায়সবাল সেই জালকাপড় খুলে দেখালেন পোকা নড়াচড়া করছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই জলই আমরা খাচ্ছি দীর্ঘদিন ধরে। ভাগ্যিস নজরে এল।’’ পাশেই থাকেন পেশায় চিকিৎসক তন্ময়া মুখোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘একেবারে জ্যান্ত, লার্ভার মতো।’’ আর এক বাসিন্দা দেবাশিস মুখোপাধ্যায় জানান, পুরসভার সরবরাহ করা জল আসে এখানে। তা জমা হয় ১১৭ নম্বর বিবেকানন্দ রোডের ঠিকানায় আন্ডারগ্রাউন্ডে। সেখান থেকে পাম্প যোগে ওই বাড়ির ছাদে ওভারহেড ট্যাঙ্কে তা জমা করা হয়।

অভিযোগ পেয়ে এ দিন পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের একটি দল ওই বাড়িতে যান। কলকাতা পুরসভার সংশ্লিষ্ট বরোর এক অফিসার জানান, দিন কয়েক আগে ওই বাড়িতে জমা মশার লার্ভা মিলেছে। তা নিয়ে নোটিসও দেওয়া হয়েছে। এ বার জলে পোকার অভিযোগ ওঠায় মনে হচ্ছে, যা কিছু গলদ বাড়ির জলাধারেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement