শিশুদের অপুষ্টির জেরে ভারতে রোগের প্রকোপ বাড়ছে। পরিস্রুত জল ও শৌচাগারের অভাবও রোগ বৃদ্ধির কারণ। বিশ্বের সর্বাধিক যক্ষ্মা রোগীর বাসও এ দেশে। শিশু-মৃত্যু, প্রসূতি মৃত্যুতে তাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এমনকি বাংলাদেশের থেকেও পিছিয়ে ভারত। আফ্রিকার দেশগুলিতে টিকাকরণের হার ৯০ শতাংশ, এ দেশে সেটা মাত্র ৬২ শতাংশ।
এই তথ্যগুলির উৎস কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রীনাথ রেড্ডি কমিশনের রিপোর্ট। সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য সরকারকে কী কী করতে হবে তা সুপারিশ করা হয়েছিল ওই রিপোর্টে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, আট বছর আগের সেই সুপারিশগুলির কিছুই প্রায় মানা হয়নি। ‘‘দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের জন্য সম্প্রতি শুরু হওয়া কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ বা রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্য সাথী’ কখনও সুপারিশগুলির পরিপূরক নয়।’’— বলছেন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের রাজ্য সম্পাদক মানস গুমটা।
চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ বা ‘স্বাস্থ্য সাথী’র মতো বিমা প্রকল্প সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রয়োজন কতটা পূরণ করবে? কারণ টিকাকরণ, পানীয় জল, ওষুধ ও শারীরিক পরীক্ষা এই বিমার আওতায় পড়ে না। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতের সরকারি অর্থ বেসরকারি বিমা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত?
সর্বজনীন স্বাস্থ্য নিয়ে কোন পথে এগোনো উচিত, এই প্রসঙ্গে ২ মার্চ মৌলালি যুবকেন্দ্রে এক বিতর্কের আয়োজন করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স। থাকবেন শ্রীনাথ রেড্ডি কমিশনের চেয়ারম্যান কে শ্রীনাথ রেড্ডি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সুজাতা রাও, রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রমের জাতীয় উপদেষ্টা অরুণ সিংহ এবং অর্থনীতিবিদ গৌতম গুপ্ত।