ফাইল চিত্র।
এ বার থেকে জোড়াসাঁকোর মেছুয়া ফলপট্টিতে আসা ফল বোঝাই ছোট কিংবা বড় লরি জীবাণুমুক্ত করেই বাজারে ঢোকানো হবে। আর সে জন্য মেছুয়ায় তৈরি করা হচ্ছে জীবাণুমুক্ত করার সুড়ঙ্গ। যার ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময়ে আস্ত একটি পণ্যবাহী গাড়ি জীবাণুমুক্ত হতে পারবে। একইসঙ্গে ট্রাকের চালক এবং খালাসিকে পৃথক ভাবে জীবাণুমুক্ত করার কাজও ইতিমধ্যে মেছুয়ায় শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাক বা পণ্যবাহী গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার ওই সুড়ঙ্গ আজ, রবিবার থেকে চালু হয়ে যাবে। পাঁচ মিনিট লাগবে একটি লরি বা ট্রাককে পুরো জীবাণুমুক্ত করতে।
বাইরে থেকে আসা পণ্যবাহী লরিচালক কিংবা খালাসির থেকে যাতে করোনা সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়তে পারে, তার জন্য ফলের ওই পাইকারি বাজার সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল প্রশাসন। কিন্তু সেখানকার ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে তা সরানো যায়নি। ফলপট্টি আপাতত মেছুয়ায় থেকে গেলেও করোনা ঠেকাতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে পুলিশ। একইসঙ্গে তাঁদের সাহায্য করছে সেখানকার ব্যবসায়ীদের সংগঠন। সেই মতো পুলিশের তরফে পণ্যবাহী গাড়িকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ওই সুড়ঙ্গ বা গেট তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
যেটির দেখভাল করবে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি। মূলত ফোয়ারার মাধ্যমে এক ধরনের রাসায়নিক তিন দিক থেকে ওই সব গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার কাজ করবে। দিনে গড়ে মেছুয়ায় দুশো ছোটবড় গাড়ি আসে। বাইরের রাজ্য থেকে আসা গাড়ির সংখ্যা প্রায় একশো। সেই সব গাড়ি একসঙ্গে মেছুয়ায় ঢুকতে দেবে না পুলিশ। নির্দিষ্ট সংখ্যক গাড়িকেই একসঙ্গে মেছুয়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে। তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে ওই সব গাড়ি ফল নামিয়ে খালি হয়ে বাইরে বেরোনোর পরেই পরবর্তী গাড়ি বাজারে ঢুকতে পারবে।
আরও পড়ুন: চাপের মুখে কলকাতা ফিরছে উড়ান-চিত্রে
আরও পড়ুন: ফুলমিষ্টিতে স্পর্শ-যোগ, মন্দির নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন
পুলিশ জানিয়েছে, রমজান মাস উপলক্ষে প্রতিদিন ভাল রকমের ভিড় হচ্ছে ফলপট্টিতে। ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই সামাজিক দূরত্ববিধি-সহ করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর প্রাথমিক শর্তগুলি মানছেন কী না, তা দেখার জন্য সংগঠনগুলিকে স্বেচ্ছাসেবক রাখতে বলা হয়েছে। বাইরে থেকে আসা লরির চালক ও খালাসি জীবাণুমুক্ত হওয়ার পরেও যাতে গাড়ি থেকে অন্যত্র কোথাও না যান, তা দেখার জন্য ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে বলা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।