Diwali 2020

কোর্টের নির্দেশ বলবৎ করতে জোর সচেতনতায়

বাজির উৎপাদনে তেমন কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। আর এতেই অশনিসঙ্কেত দেখছেন পুলিশকর্মীদের একাংশ।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২০ ০৩:০০
Share:

শব্দবাজির বিরুদ্ধে সচেতনতা। ছবি পিটিআই।

দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজো মিটে গিয়েছে। পুজোর বাকি মরসুমে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সব ধরনের বাজি বিক্রি ও পোড়ানোর উপরে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু বাজির উৎপাদনে তেমন কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। আর এতেই অশনিসঙ্কেত দেখছেন পুলিশকর্মীদের একাংশ। কারণ হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা বাজি মজুত করতে শুরু করেছেন। তার উপরে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি কিছু রাজ্য এখনও বাজি বিক্রি বা পোড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তাই ভিন্ রাজ্যে পাঠানোর নাম করে মজুত করা বাজি শহর ও শহরতলিতে নিয়ে আসার প্রবণতা দেখা যেতে পারে ব্যবসায়ীদের একাংশের মধ্যে। এমনকি পুলিশি নজর এড়িয়ে কালীপুজো বা দীপাবলির রাতে তা ফাটানোর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে আদালতের নির্দেশ কতটা সক্রিয় ভাবে বলবৎ করা যাবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে পুলিশের নিচুতলায়।

Advertisement

লালবাজার অবশ্য জানিয়েছে, আদলাতের রায় যাতে কঠোর ভাবে মানা হয়, সে জন্য থানাগুলিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, নাগরিক সচেতনতার উপরেও জোর দিচ্ছেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। পুলিশ সূত্রের খবর, শহরে যাতে নতুন করে বাজি না ঢোকে, তার জন্য সতর্ক করা হয়েছে গোয়েন্দা বিভাগকে। বিশেষত, জেলা সংলগ্ন শহরের প্রবেশপথে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, নিষিদ্ধ বাজি আটক করতে কালীপুজোরআগেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে।

এক পুলিশকর্তা জানান, স্থানীয় থানার অধীন যে সব এলাকায় বেশি বাজি ফাটে, সেখানে তাদের সচেতনতার প্রচার চালাতে হবে। এ ছাড়া, বিভিন্ন আবাসন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে তাদেরও সতর্ক করার জন্য বলা হয়েছে থানাগুলিকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সৌরভ বা শুভেন্দু? পদ্মের মুখ নিয়ে রহস্য বাড়ালেন অমিত​

আরও পড়ুন: ক্ষতি পুষিয়ে দেবে রেল, পরিষেবা না পাওয়া দিন যোগ করে মেয়াদ বাড়বে সিজন টিকিটের​

তবে পুলিশকর্তারা চাইছেন, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজো এবং অন্য উৎসবে বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ নিজেই সচেতন হোন। তা হলেই আদালতের নির্দেশ সফল ভাবে কার্যকর করা সম্ভব হবে। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘পুলিশ থাকবে, নজরদারিও চলবে। কিন্তু শহরবাসী সচেতন হলেই এই রায় পুরোপুরি কার্যকর করা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন